বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন বিকেলে রাজভবনে কেশরীনাথের সঙ্গে দেখা করে বাম ও কংগ্রেসের যৌথ পরিষদীয় দল। আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে যাওয়া এই পরিষদীয় দলের প্রতিনিধিরা রাজ্যপালকে বলেন, চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে গোটা স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। যাবতীয় ইগো ঝেড়ে ফেলে মুখ্যমন্ত্রী উদার মনোভাব নিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে যাতে সমস্যার সমাধান করেন, সেজন্য আপনি উদ্যোগী হোন। রাজ্যপাল তাঁদের বলেন, আমি গোটা বিষয়টি নিয়ে নিদারুণ উদ্বিগ্ন। প্রশাসনের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ করছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলতে চেয়েছি। কিন্তু নবান্নে ফোন করে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। কারণ, উনি তখন নবান্নে ছিলেন না বলে ওঁর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। পরে রাতে পরিবহকে দেখে আসার পর কেশরীনাথ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনার জন্য রাজভবনে আসার জন্য বার্তা দিয়েছি। তবে এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে কোনও সাড়া পাইনি।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর মান্নান-সুজনরা বলেন, আমরা চিকিৎসকদের অভিযোগ বা দাবির সঙ্গে পূর্ণ সহমত। ওঁদের নিরাপত্তা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সত্যিই ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। প্রায় আড়াইশো চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে গত দু’-তিন বছরে। কিন্তু একটি ঘটনাতেও সাজা হয়নি কোনও দুষ্কৃতীর। আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হামলাকারীরা শাসক দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় পুলিস উপযুক্ত পদক্ষেপ করতেই পারেনি। এই অবস্থায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা আজ এভাবে টানা আন্দোলনের পথে নেমেছেন। তার উপর বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে যে ঔদ্ধত্যসূচক মনোভাব দেখিয়েছেন, তাতে গোটা পরিবেশ আরও জটিল চেহারা নিয়েছে। তাই আমরা বারবার বলছি, কেবল তৃণমূল নয়, গোটা রাজ্যবাসীর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে মনে করে উনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁদের সঙ্গে অভিভাবকসুলভ মনোভাব নিয়ে দাঁড়ান উনি। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি এদিন এক বিবৃতিতে বলেন, হাসপাতালগুলিতে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেটাতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হোক। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অহংবোধ ছেড়ে নমনীয় মনোভাব নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে যান। আস্থা ফেরানোর বদলে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হুমকি দেবেন না। সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ফরওয়ার্ড ব্লকের বাংলা কমিটির সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়সহ বিভিন্ন দলের নেতারাও এই অচলাবস্থা দূর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই ধরনের আলোচনায় বসার জন্য উদ্যোগী হওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পরিবহকে দেখতে যাওয়ার আগে সন্ধ্যায় রাজভবনে কেশরীনাথ রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ মঞ্চের ১৭ জন প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেন।