বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
একাধিক শিক্ষক হেনস্তার ঘটনা, শিক্ষকদের জন্য গাড়ি পরিষেবা চালু, ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল গঠন প্রভৃতি বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বুধবার আন্দোলনে নেমেছিলেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁরা উপাচার্যর পদত্যাগের দাবিও জানাতে থাকেন। উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তিনি একটি বৈঠকে থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। এদিন তাঁরা দেখা করে দাবি পেশের পরিবর্তে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন বলেই খোদ উপাচার্য জানিয়েছেন। সব্যসাচীবাবু বলেন, যে শিক্ষকরা গতকাল আমার পদত্যাগ চেয়েছিলেন, আজ তাঁরাই দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, যে দাবিদাওয়াগুলি ছিল, সেগুলি কি মানার আশ্বাস দিয়েছেন? এর উত্তরে তিনি গাড়ি পরিষেবা নিয়ে বলতে গিয়ে জানান, আধিকারিকদের পুলকারে নিয়ে আসা হয়। শিক্ষকরাও গাড়ির দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু আধিকারিকদের সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হয়। অনেক সময়ই সন্ধ্যা ৬টার পর তাঁদের ছুটি হয়। তাঁরা নির্দিষ্ট সময় অফিসে না এলে বিশ্ববিদ্যালয় অচল। অথচ, শিক্ষক-অধ্যাপকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তাঁদের কোনও হাজিরা খাতা নেই। অনেক সময়ই ক্লাস হয় না। পরীক্ষার সময়েও অনেককে পাওয়া যায় না। তাই তাঁদের হাজিরা নিয়মিত করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করব। আর বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হলে কি শিক্ষকরা গাড়ি পরিষেবা পাওয়ার দাবিদার হবেন? উপাচার্য এই প্রশ্নের উত্তরে জানান, এ ব্যাপারে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলই সিদ্ধান্ত নেবে। ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেই দাবি উপাচার্যর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম অধ্যাপক তথা প্রাক্তন ডিন সোমনাথ সিনহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কিছু হচ্ছে না যা নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করতে হবে। বিভাগীয় প্রধানদের ঘরে এসি বসাতে হবে, এটা কোনও দাবি হতে পারে না। বরং আমরা গবেষণা পরিকাঠামোর দাবি জানাব। অনেক কিছুই আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পেয়েছি। অনেক কিছু পাইনি। কিন্তু এটা দাবি আদায়ের কোনও পদ্ধতি নয়। সবচেয়ে বড় কথা, এই আন্দোলনে সব শিক্ষক শামিল হননি। তাই এটাকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আন্দোলন বলা যাবে না।
এদিকে আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা বিশ্বজিৎ (বাপ্পা) দে এবং কর্মচারী সমিতির এক নেতার নেতৃত্বে টিএমসিপি মদতপুষ্ট ছাত্রছাত্রীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের রীতিমতো আটকে রাখা হয়। তাঁরা উপাচার্যের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে ছাড়া পান। যদিও বিশ্বজিৎ এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ইংরেজি বিভাগের পরীক্ষায় দু’টি প্রশ্ন সিলেবাসের বাইরে থেকে এসেছিল। তাই সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁরা এও বলেছেন, ছাত্রছাত্রীদের হাজিরা না থাকলে যদি পরীক্ষায় বসতে না দেওয়া হয়, তাহলে শিক্ষকদেরও ক্লাসে নিয়মিত হতে হবে। এর সঙ্গে ইউনিয়ন বা টিএমসিপির কোনও যোগ নেই। কর্মচারী নেতাদের তরফেও এই ধরনের চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।