বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে সব দপ্তরের মন্ত্রী, মুখ্যসচিব, সব দপ্তরের প্রধান সচিব ছাড়াও রাজ্য পুলিশের ডিজি, ডিআইজি, পুলিস কমিশনার ও জেলাশাসকরাও ছিলেন। প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকে গত আট বছরে তৃণমূল সরকারের রাজত্বে প্রশাসনিক কাজকর্ম, বিশেষ করে উন্নয়নমূলক কাজের পর্যালোচনা করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিনও বলেন, আগের সরকারের রেখে যাওয়া বিপুল ঋণ সুদ সহ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে সরকারকে বিরাট আর্থিক দায়ভার নিতে হচ্ছে। প্রতি বছর পরিশোধ করা টাকার পরিমাণ বাড়ছে। ২০১১ সালে সুদ ও আসল সহ ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করতে হতো। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে সেটা বেড়ে হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে এটা বেড়ে হবে ৫৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত তাঁর সরকারকে ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩১৬ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে বার বার এই ঋণের বোঝা হালকা করার অনুরোধ করেও কোনও লাভ হয় না বলে তিনি জানিয়েছেন।
কিন্তু এই বিপুল আর্থিক দায়ভার সত্ত্বেও গত আট বছরে সরকার আর্থিক সংস্কারের মাধ্যমে নিজের আয় বাড়াতে পেরেছে। উন্নয়ন খাতে খরচও এর ফলে বেড়েছে। এব্যাপারে বিস্তারিত পরিসংখ্যান পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের নিজস্ব রাজস্ব সংগ্রহ ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে বেড়ে হয়েছে ৬৫ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। আগের আর্থিক বছরে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছিল ৬০ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি নীতির সমালোচনা করেছে রাজ্য। তবে জিএসটি থেকে আয় বেড়েছে। এই খাতে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে ২৩ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা আয় হয়েছিল। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৮ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা।
রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির প্রভাবে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ অনেক বেড়েছে। গত আট বছরের মধ্যে পরিকল্পনা খাতে খরচ আটগুণ বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ২০১০-১১ আর্থিক বছরে এই খাতে খরচ হয়েছিল ২৩ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থিক বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৭১ হাজার ১১৩ কোটি টাকা। এক বছরের মধ্যে পরিকল্পনা খাতে খরচ ২৩ শতাংশ বেড়ে ৭১ হাজার ১১৩ কোটি টাকা হয়েছে। মূলধনী খাতে ব্যয় আট বছরে ১১ গুণ বেড়ে ২৩ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা হয়েছে। সামাজিক ক্ষেত্রে এই সময়ে খরচ সাড়ে চারগুণ বেড়ে ৩১ হাজার ৬০ কোটি টাকা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে এই খাতে খরচ ৯ শতাংশ বেড়েছে। কৃষি এবং আনুষঙ্গিক ক্ষেত্রে ও পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ আট বছরে যথাক্রমে ৯ ও ৫ গুণ বেড়েছে। এই দু’টি ক্ষেত্রে সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বছরে খরচ হয়েছে যথাক্রমে ২৮ হাজার ৩০২ কোটি ও ৯৫৫৩ কোটি টাকা।