বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ভোটগণনার কাজ যাতে নির্বিঘ্নে শেষ হয়, তার জন্য প্রত্যেক জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের ৫৮টি গণনাকেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গণনার কাজ শুরু হবে। এরজন্য মোট ৩৭৯টি হল নেওয়া হয়েছে। টেবিল খোলা হবে ৪৬৬৮টি। প্রতিটি কাউন্টিং হলেই ভিডিওগ্রাফি করা হবে। সব থেকে বেশি রাউন্ড হবে কলকাতা দক্ষিণে। সেখানে ২৫ রাউন্ড গণনা হবে। এছাড়াও ঝাড়গ্রামে ২৫ রাউন্ড গণনা হবে। সব থেকে কম রাউন্ড হবে রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে। ওই দুটি কেন্দ্রে ১০ রাউন্ড করে গণনা হবে। বাকি জায়গায় ১৭ থেকে ২০ রাউন্ড গণনা হবে। ২৫ হাজার গণনাকর্মী এই কাজে যুক্ত থাকবেন।
গণনাকেন্দ্র জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে। গণনাকেন্দ্র ঘিরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্ট্রং রুম, কাউন্টিং হলে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কাউন্টিং হলের বাইরে থাকবে রাজ্য পুলিস। কলকাতার গণনাকেন্দ্রে চার হাজার পুলিস থাকবে। ১০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। মোবাইল নিয়ে কেউ কাউন্টিং হলে ঢুকতে পারবে না বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল, তাই এবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বিশেষ সতর্ক। মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার ভিডিও কনফারেন্স ছিল। কিন্তু দিল্লিতে সব বিরোধী দলের ডেপুটেশন কর্মসূচি থাকায় তা বাতিল করা হয়। তবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ভাটপাড়া সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটায় এদিন রাজ্যে ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট, পূর্ব মেদিনীপুর, সুন্দরবন পুলিস জেলায় পাঁচ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের জন্য আট কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভাটপাড়ায় প্রবল অশান্তি চলছে। তা নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য পুলিসকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদীয়া ও কলকাতায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য নয় কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সাত কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, হুগলি গ্রামীণ, হাওড়া গ্রামীণ, বিধাননগর পুলিস কমিশনারেট, বারাসত, বসিরহাট, বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার জন্য। বাঁকুড়ায় মোতায়েন করা হয়েছে চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিন কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেট, চন্দননগর পুলিস কমিশনারেট ও হাওড়া পুলিস কমিশনারেট এলাকায়। কালিম্পং জেলায় দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।