বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তাপমাত্রার ভিন্ন চিত্র উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টি চলবে। মধ্য অসমের উপর থাকা একটি ঘূর্ণাবর্তর প্রভাবে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের অংশ নিয়মিত বৃষ্টি পাচ্ছে। সেখানে সমতল এলাকাতে তাপমাত্রা বেশ কম। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০-৩১ ডিগ্রির আশপাশে থাকছে। যেখানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের বাইরের এলাকাতেও ৩৬-৩৮ ডিগ্রির আশপাশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দুটোই এখন বেশি। ফলে সারাদিন ধরে বেশ গরম লাগছে। ভোর ও রাতের দিকে স্বস্তি মিলছে না। ভোর বেলা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। কলকাতায় গত কয়েকদিন ধরে তা ৩০ ডিগ্রির আশাপাশে থাকছে। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই-তিন ডিগ্রি বেশি। আকাশে কিছুটা মেঘ থাকার জন্য কলকাতায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এদিন সামান্য কমে যথাক্রমে ৩৫.৯ ও ২৮.৯ ডিগ্রি হয়। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার জন্য তাপমাত্রা কমলেও, ভ্যাপসা গরমের কষ্ট কমেনি। এই অস্বস্তিদায়ক গরম চলবে। দখিনা বাতাসে ভর করে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বায়ুমন্ডলে ঢুকছে। এই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে কোথাও কোথাও স্থানীয়ভাবে বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এদিনও মুর্শিদাবাদে বজ্রমেঘ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু যেখানে ওই হালকা বৃষ্টি হচ্ছে, সেখানেও গরম থেকে বিশেষ স্বস্তি মিলছে না। বিকেলের পর বৃষ্টি হচ্ছে। পরের দিন চড়া রোদে গরম বাড়ছে। খুব জোরালো বৃষ্টি বা ঝড় হওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি আজ, বুধবারও নেই। তবে কাল, বৃহস্পতিবার কিছুটা অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাতে ওইদিন বৃষ্টির মাত্রা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কোথাও কোথাও বেশি হতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। কিন্তু শুক্রবার থেকে সেই অনুকূল পরিস্থিতি আর থাকবে না।