বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বাম কংগ্রেস আসন সমঝোতা অধরা। যার জেরে রাজ্যের কংগ্রেস ও বাম শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যখন বিবৃতির লড়াই ক্রমে বাড়ছে, তখন যাদবপুরে বিকাশবাবুর বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার ব্যাপারে বিধান ভবনের প্রস্তাব যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশবাবু সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার ব্যাপারে মামলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করেছিলেন। একইভাবে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের পৃষ্ঠপোষকতায় হওয়া নারদ মামলাতেও সিবিআই তদন্ত আদায় করেছেন বিকাশবাবু। তৃণমূল ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকাকে সম্মান জানাতেই কংগ্রেস প্রার্থী না দেওয়ার কথা ভেবেছে। রবিবারই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দিল্লি যান। সেখানে আজ, সোমবার প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠকে যাদবপুরে প্রার্থী না দেওয়ার রাজ্য কংগ্রেসের প্রস্তাব এআইসিসি চূড়ান্ত করবে। ইতিমধ্যে লোকসভার প্রথম তিন দফা ভোটের দশজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে এআইসিসি। যাদবপুর বাদেও বামদের দেওয়া আরও পাঁচটি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে না, এমন সম্ভাবনা প্রবল বলেই প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে ইঙ্গিত মিলেছে। বাকি আসনের প্রার্থী তালিকা এদিন বিকেলের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে বলে সূত্রের দাবি।
শনিবার মালদহের চাঁচলে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সভাকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। সভাস্থলের সেই ঘটনার জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেন সোমেনবাবু। তবে তাঁর দাবি, রাজ্য প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল। রাহুল বাংলার উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়েছিলেন। তার জবাবে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, সঠিক তথ্য সরবরাহ না করায় রাজ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাননি কংগ্রেস সভাপতি। পাশাপাশি এরাজ্যে কংগ্রেস পরোক্ষে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন তার জবাবে সোমেনবাবু বলেন, যে নেতা সারা দেশে বিজেপির ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তাকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য রসিকতা ছাড়া কিছু নয়। উল্টে সোমেনবাবুর দাবি, এরাজ্যে বিজেপির সঙ্গী হিসেবেই তৃণমূল দল তৈরি হয়েছিল। প্রথম এনডিএর শরিক তৃণমূলের মুখে এমন কথা মানায় না বলেই মনে করেন তিনি। সোমেনবাবু বলেন, মনগড়া তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করছেন, কৃষকদের আয় নাকি তিন গুণ বেড়েছে। তাঁর দাবি, তাই যদি হবে, তাহলে গত আট মাসে মোট ৩৪ জন কৃষক ও ক্ষেতমজুরকে আত্মহত্যা করতে হত না।