বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
লোকসভার ভোটপর্ব শুরু হতে আর একমাসও বাকি নেই। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে পড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিভিন্ন জায়গায় তাদের টহল শুরু হয়েছে। ভোটপর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করানো রাজ্য পুলিসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। যাতে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে বিরোধীরা কেউ কোনও অভিযোগ তুলতে না পারে। কোন জেলায় কত বাড়তি ফোর্স প্রয়োজন পড়বে, তা নিয়ে জেলা পুলিসের কর্তারা দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা ও বুথ কোথায় কোথায় রয়েছে, তা নিয়ে চলছে তথ্য সংগ্রহের কাজ। যাতে গোলমালের খবর পেলেই দ্রুত পৌঁছনো যায়। সেই সঙ্গে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কড়া সুরক্ষার ব্যবস্থা করা যায়।
কিন্তু জেলাগুলি মনে করছে, শুধু পুলিসকর্মী দিয়েই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলে হবে না। আকাশপথে নজরদারিও চালানো প্রয়োজন। বিশেষত উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানো বিশেষভাবে দরকার। কারণ ড্রোন ক্যামেরায় সহজেই ধরা পড়বে, কারা কারা গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে জানা যাবে, বহিরাগতরা এসে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে কি না। আর বিরোধীরা যদি কোথাও গোলমাল নিয়ে অভিযোগ করে, তাহলে ড্রোন ক্যামেরায় ওঠা ছবি দেখলেও স্পষ্ট হয়ে যাবে, তাদের অভিযোগের বাস্তবতা আদৌ রয়েছে কি না। সেই কারণেই জেলাগুলির তরফে আবেদন আসতে শুরু করেছে, ভোটের সময়ে তাদের জেলায় ড্রোন পাঠানো হোক।
কিন্তু রাজ্য পুলিসের হাতে থাকা ড্রোনের সংখ্যা সীমিত। মাসখানেক আগে রাজ্য পুলিসের শীর্ষকর্তাদের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় ওঠে। তাদের নিজস্ব কতগুলি ড্রোন রয়েছে, তা নিয়ে খোঁজখবর করতে বলা হয় অফিসারদের। তা করতে গিয়ে কর্তারা জানতে পারছেন, তিনটি ড্রোন রয়েছে রাজ্য পুলিসের হাতে। প্রয়োজন পড়লে তাঁরা কলকাতা পুলিসের ড্রোনও ব্যবহার করে থাকেন।
এদিকে, সমস্যা হচ্ছে নির্বাচনের সময়। কারণ কলকাতাতেও নির্বাচন রয়েছে। আর একইদিনে একাধিক জেলায় ভোট হবে। সেক্ষেত্রে সমস্ত জেলায় ড্রোন পাঠানো সম্ভব নয়। আর কলকাতার ভোটের দিন অন্য জেলাতেও ভোট রয়েছে। তাই ওইদিন খুব স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা পুলিসের পক্ষে তাদের ড্রোন দেওয়া বেশ কঠিন। কারণ তাদেরও নজরদারির দায়িত্ব রয়েছে। অথচ আইনশৃঙ্খলার রক্ষার বিষয়টিও ভাবাচ্ছে জেলার কর্তাদের। সেই কারণেই বাড়তি ড্রোনের ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় এবং প্রয়োজনে অন্য কোনও এজেন্সির কাছ থেকে তা পাওয়া যায় কি না, এই নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করছেন পুলিসকর্তারা। সেরকম হলে বাছাই করা জেলাগুলিতে ড্রোন পাঠানো হবে বলে খবর পুলিস সূত্রে।