বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বস্তুত বিজেপির এবার অন্যতম একটি অঙ্ক বাম ও কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কের একটি বড় অংশের ভোট গেরুয়া প্রার্থীরা পাবেন। কারণ সিপিএম ও কংগ্রেসের যারা এই জোট অথবা আসন সমঝোতা মানতে পারছিলেন না তাঁরা বিরক্ত হয়েই বিজেপিকে দিতেন। এবার সেই সম্ভাবনা একটু হলেও কমে যেতে পারে। মমতা বিরোধী ভোট তিনভাগে বিভাজিত হয়ে যাওয়ায় এবার তৃণমূল কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাবে বলেই ধারণা। যদিও এই অঙ্কের পাল্টা মতামতও রয়েছে বিজেপির মধ্যে। সেই অংশটি মতে বেশি সংখ্যায় সেলেব্রিটি এবং পরিচিত মুখকে প্রার্থী করা হলে কংগ্রেস ও সিপিএমের পরিবর্তে মানুষ বেশি করে বিজেপিকেই ভোট দিত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যতটা প্রচার করা হয়েছিল সেই নিরিখে তৃণমূলের বড়সড় কোনও নেতাকেই বিজেপি ভাঙিয়ে আনতে পারেনি। বিজেপির সবথেকে বড় সমস্যাই হল প্রার্থী। ভোটার আছে, প্রার্থী নেই। ভোটব্যাংক আছে কিন্তু স্থানীয় তথা রাজ্যস্তরে জনপ্রিয় নেতা নেই। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতেই চেষ্টা করা হয়েছে যত বেশি সংখ্যক বিভিন্ন দলের প্রতিষ্ঠিত নেতাকে ভাঙিয়ে আনার। কিন্তু এখনও সেরকম হাই প্রোফাইল নেতা আসেননি। সেই কারণেই প্রার্থী তালিকা বাছাই করতেও দেরি হয়েছে।
বাম ও কংগ্রেসের জোট হলে বিজেপি যেভাবে নির্বাচনে প্রচারের ফরম্যাট স্থির করেছিল, এককভাবে ওই দুই দল লড়াই করলে সেটার আর দরকার হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণএখন আর সিপিএম এবং কংগ্রেসের ফলাফল যে এককভাবে ভালো হওয়ার সুযোগ নেই সেটা স্পষ্ট। বিজেপি নিজের ভোটব্যাঙ্ক বাড়িয়ে নেওয়ার আশা করলেও তৃণমূল বিরোধী ভোট তিনটি দলের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিজেপির ভোটপ্রাপ্তির শতকরা হার যে আদৌ কতটা বাড়বে সেটা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেসও ধরে নিয়েছে তাদের সঙ্গে বামেদের জোট না হওয়া আসলে সুবিধা করে দিয়েছে মমতাকেই। নিজেদের চারটি আসন ধরে রাখাও যে এরপর যথেষ্ট কঠিন সেটাও কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করছেন। আর এর জন্য কংগ্রেসের সবথেকে বড় বিরক্তির কারণ হল সিপিএমের যথেচ্ছাচার। রাজ্যে সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীনই সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গেও রাহুল গান্ধীর কথা হয়েছে। কিন্তু সিপিএমের রাজ্য কমিটি যেভাবে একের পর এক আসনে প্রার্থী বাছাই করেছে তা কংগ্রেসকেই কার্যত উপেক্ষা করা। এই কারণেই এখন রাহুল গান্ধীও অনড়। তিনিও চান আসন্ন লোকসভা ভোটে কংগ্রেস একাই লড়াই করুক। কিন্তু এই চতুর্মুখী লড়াইয়ে এটা নিয়ে কোনও পক্ষেরই সন্দেহ নেই যে অ্যাডভান্টেজ তৃণমূলই।