বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বসু পরিবারের তরফে সৃজিতকে লিখিতভাবে তাঁদের মনোভাবের কথা জানিয়েছেন নেতাজির ভাইঝি অধ্যাপিকা চিত্রা ঘোষ। দিন কয়েক আগে পরিচালককে এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়। তবে ক্ষোভের আঁচ পেয়ে বসু পরিবারের মুখপাত্র তথা নেতাজির সম্পর্কে নাতি তথা বিজেপি’র রাজ্য সহ সভাপতি চন্দ্রকুমার বসু’র সঙ্গে মুখোমুখিও বসেন সৃজিত। তিনি অবশ্য তাঁর প্রস্তাবিত ছবিতে গুমনামি বাবা’কে নেতাজি বলে দেখাবেন না বলে কথা দিয়েছেন চন্দ্রবাবুকে। যদিও সৃজিত চন্দ্রবাবুকে জানিয়েছেন, যে তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর ওই ছবির চিত্রনাট্য তৈরি হতে চলেছে, তার মূল ভিত্তি হল বিশিষ্ট নেতাজি-গবেষক অনুজ ধরের লেখা বই।
সৃজিতের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকের কথা স্বীকার করে চন্দ্রবাবু বলেন, গুমনামি বাবা’কে নেতাজি হিসেবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চলছে বহু কাল ধরে। কিন্তু কথিত আছে, তিনি নাকি পর্দানসীন ছিলেন। কোনও নির্দিষ্ট ছবি তাঁর নেই। গুমনামি বাবা এবং নেতাজির মধ্যে সম্পর্কের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি মেলেনি। এমনকী, ডিএনএ পরীক্ষাতেও তা প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনে গঠিত মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টে সরাসরি গুমনামি বাবার প্রসঙ্গ খারিজ করা হয়েছে। এত সবের পরও কী করে গুমনামি বাবাকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করে নেতাজিপ্রেমীদের আবেগকে নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে, তা বসু পরিবারের সদস্যদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে সৃজিতকে আমাদের আপত্তির কথা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছি। এদিকে, সৃজিতকে এব্যাপারে ‘বর্তমান’ পত্রিকা থেকে বারবার ফোন করা হলে প্রথমে তিনি তা ধরেননি। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনও আলোচনা করতে চান না বলে পরে জানিয়ে দেন। দিল্লিতে অনুজ ধরকে ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি।