পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
‘আমি বাংলায় গান গাই, আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই’— এই জনপ্রিয় গানে আজও মহিত আম বাঙালি। ২০১০ সালে সিঙ্গুরের ঘটনায় প্রতিবাদী বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে প্রতুল মুখোপাধ্যায় রাস্তায় নেমেছিলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে এর আগেও তিনি মতপ্রকাশ করেছিলেন। আগামী ১ জুন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। তার আগে রবিবার বিকেলে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনে বিদ্যাসাগর সভাগৃহে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে নির্বাচনী বৈঠকে মধ্যমণি ছিলেন অশীতিপর এই শিল্পী। এই বৈঠকে বারাসত লোকসভা এলাকার বহু ডাক্তার, আইনজীবী, কবি-সাহিত্যিকরা হাজির ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন কাকলির স্বামী ডাঃ সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার ও খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।
এদিন প্রতুলবাবু বলেন, আপনি কাকে ভোট দেবেন, সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে, ফ্যাসিবাদকে তাড়াতে বিজেপিকে হারাতেই হবে। যে দল যেখানে বিজেপিকে হারাতে পারে, তাদেরর পাশে দাঁড়াও। একটি ফ্যাসিস্ট দল এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। বহুত্ববাদের দেশে আজ একনায়কতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা চলছে। গণতন্ত্র, সংবিধানকে বাঁচাতে বিজেপির মতো শক্তিকে প্রতিহত করা অত্যন্ত জরুরি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ডাঃ সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারের গলায় এদিন ছিল আক্ষেপের সুর। বললেন, স্ত্রী চিকিৎসক হলেও চিকিৎসার কাজে আমি তাঁকে পাই না। পাবই বা কী করে! তিনি তো জনসেবায় ব্যস্ত। এই জনসেবার জন্যই এবার আরও বেশি লিড দরকার।
এদিন বারাসতের হেলাবটতলা থেকে ডাকবাংলো হয়ে চাঁপাডালি মোড় পর্যন্ত মিছিল হয় বাম প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে। উপস্থিত ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। এদিন সুসজ্জিত শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার দু’ধারে মানুষের ভিড় ছিল যথেষ্ট। তা দেখে আপ্লুত হন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী সঞ্জীববাবু। তিনি বলেন, মানুষ দু’হাত ভরে আমাকে আশীর্বাদ করছে। যেভাবে বিজেপি ও তৃণমূল মানুষকে সর্বশান্ত করছে, তাতে মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল লালঝান্ডা। এটা মানুষ বুঝতে পারছেন। এদিন মিছিলে তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি দেখে বাম-বিরোধীদের ভিতর শুকিয়ে গিয়েছে। ডাকবাংলো, চাঁপাডালি, দক্ষিণপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে ভালো সাড়া মিলেছে।