নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে বাগনানের খালোড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে যৌথ পদযাত্রা ছিল। ওই কর্মসূচি শেষ করে একদল সিপিএম কর্মী বাগনান কলেজ মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে। অভিযোগ, সেই সময় সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লোহার রড, লাঠি দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে। অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধায়ক অরুণাভ সেন। অভিযোগ, তাঁকেও ঘিরে ধরে হেনস্তা করা হয়। বিধায়কের দেহরক্ষী তাঁকে বাঁচাতে গেলে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। বিধায়ককে হেনস্তার পরই এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা দুষ্কৃতীদের পাল্টা মারধর করে।
ঘটনায় বিধায়কের দেহরক্ষী সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাগনান থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরে সিপিএমের পক্ষ থেকেও পুলিসে অভিযোগ জানানো হয়। বিধায়ক বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এলাকায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে সিপিএম পরিকল্পনামাফিক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাকেও মারতে গিয়েছিল। দেহরক্ষী থাকায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। কর্মীদের কোনওরকম প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আহবান জানিয়েছি।’ তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। দলের হাওড়া জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সাবিরউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘সোমবার খালোড় এলাকায় আমাদের প্রার্থীর এলাকা পরিক্রমা ছিল। প্রার্থী এলাকা ছাড়ার পরেই এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব সংগঠিতভাবে আমাদের কর্মীদের মারধর করে ও তাঁদের ঘরবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ বিষয়টি নিয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সুপারকে অভিযোগ জানানো হযেছে এবং নির্বাচন কমিশনকেও অভিযোগ জানানো হবে বলে জানান ওই সিপিএম নেতা। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিস টহল চলছে।