নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির রথীন চক্রবর্তী এবং সিপিএমের সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উত্তমকুমার লড়ছেন এসইউসিআইয়ের প্রার্থী হয়ে। তিনি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। অবসর নিয়েছেন চার বছর আগে। চিরকালই রাজনীতি মনস্ক। তাই চাকরি থেকে ঝাড়া হাত পা হয়েই দাঁড়িয়ে পড়েছেন ভোটে। ৪৩ বছর আগেও একবার দাঁড়িয়েছিলেন নির্বাচনে। পুরভোটে লড়াই করেছিলেন।
তাঁর নামের সঙ্গে রুপোলি পর্দার স্বপ্ননায়কের নামের মিল। তবে এই ভোট প্রার্থীর আন্দোলনের সঙ্গে সিনেমার কিন্তু কোনও মিলই নেই। ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক মনস্ক। স্কুলে পড়ার সময় তাঁর পোশাক, কাঁধের ঝোলা ব্যাগ দেখে বন্ধুরা বাঘাযতীনের সঙ্গে তুলনা করত। সিপিএম আমলে বালি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সে কথা বলতে গিয়ে জানালেন, ‘বালির মানুষকে জিজ্ঞেস করলেই বলে দেবে উত্তম চ্যাটার্জি কোন আদর্শে বিশ্বাসী। আমাদের মূল লক্ষ্য মানুষের সমস্যার অবসান। সেই লক্ষ্যেই লড়াই করা।’ প্রসঙ্গত, পর্দার উত্তমের আসল নাম অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়। বাম দলটির প্রার্থীর পদবীও চট্টোপাধ্যায়। মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে দিয়েছেন হাওড়া লোকসভার এসইউসিআই প্রার্থী। সেখানে সম্পূর্ণ নাম উত্তমকুমার চ্যাটার্জি লিখতে হয়েছে। তবে তিনি ‘কুমার’ বাদ দিয়ে উত্তম চট্টোপাধ্যায় নামে ডাকলে বেশি খুশি হন। বলেন, ‘আমার নাম ঠাকুমা ভালবেসে রেখেছিলেন। সেক্ষেত্রে কিছু করার ছিল না।’
ভোটে কতটা সফল হবেন? উত্তরে বলেন, ‘নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। অন্যান্য দলগুলির বিরুদ্ধে আমাদের কথা এখন প্রমাণিত। মানুষ আমাদের কথা ঠিক বুঝবেন।’ এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে প্রচার করে চলেছেন উত্তম চট্টোপাধ্যায়। মহানায়কের ক’টা সিনেমা দেখেছেন? মিছিল থেকে ঘাড় ঘুরিয়ে মুচকি হাসলেন। স্লোগান তুলে এগিয়ে গেলেন ভিড় লক্ষ্য করে।