নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
অশোকনগর শহরের বাসিন্দা স্বর্ণালী চক্রবর্তী ও শাওনি ভট্টাচার্য। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা যে তাঁরা হওয়ার যোগ্য তার সব প্রমাণ আছে। তারপরেও এমন রায় শোনার পর থেকেই ভেঙে পড়েছেন দুই গৃহবধূ। চোখের জল থামাতে চাইলেও পারছে না কোনওভাবেই। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করা ভালো ফলাফলের পরে শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্নকে স্বার্থক করতে কঠোর পরিশ্রম করে এসএসসি পরীক্ষা দেন। ২০১৬ সালে চাকরি পাওয়ায় কার্যত 'কাল' হল তাঁদের। এক রায়ে তাঁদের চাকরি চলে গেল। সুন্দর গোছানো জীবন কেমন যেন অগোছালো হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বিচারব্যবস্থার উপর যে ভরসা ছিল সেটাও যেন ক্রমশ ফিকে হচ্ছে অশোকনগরে স্বর্নালি ও শাওনিদের। চোখে মুখে একরাশ হতাশা নিয়ে স্বর্ণালী বলেন, আদালতের রায়ে যোগ্য শিক্ষকদের সামাজিক অসম্মান করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আগামী দিনে কীভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে দাঁড়াব বুজতে পারছি না। অন্যদিকে শাওনি বলেন, চাকরি পাওয়ার পর বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল। এখন কীভাবে সেই টাকা ও সংসার চালাব বুঝে উঠতে পারছেন না। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে অনেকের অন্যভাবে তাকানো সহ্য করা যাচ্ছে না। বাড়ির বাইরে বেরানোর ক্ষেত্রেও এখন আত্মসম্মানে লাগছে। কিন্তু করার কিছু নেই। দুই পরিবারের সদস্যরাও চাকরি যাওয়ায় দিশাহীন। তাঁরা বলছেন, একটা রায় সব শেষ করে দিল আগামী প্রজন্মকে। আদালতের উচিৎ ছিল সঠিক তথ্য বের করে ব্যবস্থা নেওয়া।