সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
ভরদুপুরে চড়া তাপপ্রবাহের মধ্যেই থিকথিকে ভিড় দখল করে নিয়েছিল চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়। সেখান থেকে শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন জমা দিতে রওনা হন রচনা। ৫ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে লেগে যায় প্রায় এক ঘণ্টা। বুনোকালী মন্দিরে পুজো দিয়ে রচনার শোভাযাত্রা যখন চলতে শুরু করে, তখন দু’পাশের ঘরের জানালায়, বাড়ির ছাদে ছিল উৎসাহী মুখের ভিড়। অনেক বাসিন্দা রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। ডঙ্কা নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ লক্ষ্মীর সাজে মহিলা কর্মীদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। টলিউডের কিছু শিল্পী এবং রচনার পরিবার এদিন উপস্থিত ছিলেন। রচনার বন্ধুরা এসেছিলেন ঘাসফুল প্রতীক ও রচনার ছবিতে সাজানো বিশেষ পোশাকে সেজে। তবে প্রার্থী নিজে ছিলেন সাদামাটা পোশাকে। মনোনয়ন পেশ করে মন্ত্রী-বিধায়কদের পাশে নিয়ে রচনা বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীদের তো বটেই, আম জনতার উৎসাহ আমাকে বিপুল আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। হুগলির মানুষ আমাকে গ্রহণ করে নিয়েছেন, এমনই ইঙ্গিতই পেয়েছি। তাই ফলাফল নিয়ে খুব আশাবাদী।’
শ্রীরামপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু এদিন শ্রীরামপুর লোকসভার বিরাট এলাকাজুড়ে শোভাযাত্রা করেন। চাঁদোয়া দেওয়া সাজানো গাড়িতে তাঁর সঙ্গী ছিলেন বিজেপি শাসিত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। পরে তাঁকে নিয়েই তিনি চুঁচুড়ায় অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমিসংস্কার) কুহুক ভূষণের অফিসে গিয়ে মনোনয়ন পেশ করেন। কবীরশঙ্কর বলেন, ‘শ্রীরামপুরের মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। তাঁরা মোদিজির সুশাসন চাইছেন। ওখানে একজন ব্যক্তির উন্নয়ন হয়েছে। এবারের ভোটে মানুষ তাঁর জবাব দেবে।’ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীও তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করেন।
আবেগের ঢেউয়ে ভেসে মনোনয়ন পেশ করে নজর কেড়েছেন আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগও। কর্মীদের আব্দারে তিনি চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল করে মনোনয়ন পেশ করেন। মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন মিতালি। তিনি বলেন, ‘নাম ঘোষণার পর দিন থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছি। আরামবাগের মানুষ আমাকে ভরসা দিয়েছেন। আর আছে আমাদের নেত্রীর উন্নয়ন। তাই আরামবাগ বিজয় হবেই।’