সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নববর্ষের দুপুরে বরানগরের ২৫, নিরঞ্জন সেন নগরের বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে বৃদ্ধ শঙ্কর হালদার, তাঁর ছেলে অভিজিৎ ওরফে বাপ্পা হালদার ও নাতি দেবার্পণ ওরফে বর্ণ হালদারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনজনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। তাঁরা আত্মরক্ষার চেষ্টাও করেছিলেন। মৃতদেহ পচে যাওয়ায় সমস্ত কিছু স্পষ্ট নয়। ভিসেরা রিপোর্ট এলে সব কিছু পরিষ্কার হবে। তবে, ডাইনিং রুমের সিসিটিভি প্যান্ট দিয়ে ঢাকা দেওয়া, সিসিটিভির ডিভিআর না থাকা, দরজার বাইরে চাবি দেওয়া, মৃতদেহ উদ্ধারের দিন খুনের দাবি সম্বলিত বেনামি চিঠি তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে উদ্ধারের ঘটনা ধন্দ আরও বাড়িয়েছে।
পুলিস মৃত বাপ্পার স্ত্রী, তাঁর প্রেমিক, সাত ভাড়াটে ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধারের দিন সকালে নিখোঁজ ভাড়াটের হদিশ মেলার দাবি করেছে পুলিস। কিন্তু তিনদিন কাটলেও পুলিস এখনও জানাতে পারেনি, ঠিক কী ঘটেছিল।
মৃত বাপ্পার মামা জয়দেব দে বলেন, ভাগ্নে কাউকে জোর গলায় কথা বলত না। ছেলেকে প্রচণ্ড ভালোবাসত। তাঁর স্ত্রীকে বাড়িতে ফেরানোর জন্য অনেক চেষ্টাও করেছিল। এলাকার লোকেদের নিয়ে হাবড়াতেও গিয়েছিল। তবে বছর খানেক আগে স্ত্রীর চলে যাওয়া ধীরে ধীরে সহ্য করে নিয়েছিল। আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। দিন কয়েক আগে এক পরিচিতের শ্রাদ্ধ বাড়িতে ওরা তিনজন একসঙ্গে গিয়েছিল। ভাগ্নে এমন ঘটনা ঘটাবে, সেটা আমরা কিংবা পাড়ার কেউ বিশ্বাস করে না। স্থানীয় ক্লাবের সম্পাদক সোমনাথ সরকার বলেন, এই ধরনের কাজ বাপ্পাদা কখনও করতে পারে বলে বিশ্বাস হয় না।