রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
লাল পতাকায় ঘেরা গলিপথ। সে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে প্রশ্নটির উত্তর দিলেন সৃজন। ‘উনি বললেন মাকে বোলো ভোটের দিন আঁচলে একটা গিঁট বেঁধে রাখতে।’ মিছিল এগিয়ে চলল অলি-গলি ধরে। কেউ তাঁকে দেখে হাত আকাশে তুললেন। ইউনিফর্ম পরা এক নিরাপত্তা রক্ষী এগিয়ে এসে স্লোগান দিতে শুরু করলেন। প্রচার পথে দেখা হল সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ সেনগুপ্ত ও ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্যর সঙ্গে। সৃজন তাঁদের ঠাট্টা করে বললেন, ‘অফিশিয়ালি ভোটটা চেয়ে নিলাম।’ বৈষ্ণবঘাটার মুখে প্রার্থীর অপেক্ষায় ছিলেন এক বৃদ্ধ। তিনি বললেন, ‘৭৭ ফিরিয়ে আনতে হবে তোমাকে।’ মিছিল শেষে গড়িয়ার পার্টি অফিস পর্যন্ত এলেন বৃদ্ধ।
১১ বছর আগে সৃজন তাঁর মাকে হারিয়েছেন। ওই মহিলার কথা শুনে কি মায়ের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল? সৃজন বললেন, ‘তত্ক্ষণাত্ মাকে মনে পড়ে গিয়েছিল। তখন প্রকাশ করিনি। তিনি যা বলেছেন তা হাসিমুখেই শুনেছি। তবে মাকে মনে পড়েছিল বলে আচমকা ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল সবকিছু।’
এদিন বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার হাড়দহ পঞ্চায়েত এলাকায় গাড়ি করে প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক বিভাস সরদার। গাড়ি থেকে নেমে মহিলাদের সঙ্গে গল্প করতে দেখা যায় সায়নীদেবীকে। ট্যাঙ্গারবেড়িয়া সহ বিভিন্ন গ্রামে মহিলারা সায়নীকে দেখতে আসেন। প্রার্থী সেখানে বলেছেন, ‘আমাকে মমতাদি পাঠিয়েছেন। কাজ করার সুযোগ দিন।’ পরে সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার নয় ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মিছিল করেন সায়নী। এর পাশাপাশি বিজেপির অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় সকালে টালিগঞ্জ ও বিকেলে যাদবপুর বিধানসভা এলাকায় প্রচার করেন।