রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
লেকটাউনের বি-টাউন এলাকায় রাস্তার ধারেই রাজীবদের দোতলা বাড়ি। বাবার মৃত্যুর পর মাকে নিয়েই থাকতেন তিনি। তবে, ২০১৬ সালে মায়ের মৃত্যুর পর বাড়িতে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করতেন রাজীব। সোমবার বাড়ির সামনের রাস্তায় প্যান্ডেল বাঁধতে গিয়ে জানালা দিয়ে তাঁর কঙ্কাল দেখতে পান এক শ্রমিক। তারপরই পুলিস বাড়ির তালা ভেঙে সেই কঙ্কাল উদ্ধার করে।
পুলিস জানিয়েছে, রাজীবদের বাড়ির একেবারে পাশেই তাঁর জ্যাঠা-জেঠিমার বাড়ি। তাঁরা এখনও জীবিত রয়েছেন। কিন্তু, রাজীবের বাবা-মা বেঁচে থাকার সময় থেকেই তাঁদের সঙ্গে জ্যাঠাদের সম্পর্ক নেই। অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গেও রাজীবের যোগাযোগ ছিল না। তিনি ফোন ব্যবহার করতেন না বলেই অনুমান পুলিসের। তাই করোনা পর্ব শেষ হওয়ার পর তিন বছর কেটে গেলেও এতদিন কেউ তাঁর খোঁজ করেননি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো হতে শুরু করেছে। এই ধরনের কঙ্কাল পড়ে থাকলে সাধারণত, ৩-৪ বছর পর হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। তার আগে হাড় গুঁড়ো হয়। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। পুলিসের দাবি, ওই রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর সময়কাল এবং কারণ স্পষ্টভাবে জানা যাবে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।