নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
কীভাবে এই জালিয়াতি হচ্ছে? গোয়েন্দাদের কথায়, প্রথমে পেটিএমের গ্রাহকদের বেছে বেছে কেওয়াইসি অপাডেটের মেসেজ পাঠাচ্ছে দুষ্কৃতী দলটি। মেসেজে বলা হচ্ছে, কেওয়াইসি আপডেট না থাকায় গ্রাহকের পেটিএম অ্যাকাউন্টটি সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরপর উদ্বিগ্ন গ্রাহকের মোবাইলে ফোন করছে দুষ্কৃতী দলটি। কেওয়াইসি আপডেট করার জন্য ফোনে গ্রাহককে প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে কিউ এস অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হচ্ছে। এই কিউ এস অ্যাপ আসলে টিম ভিউয়ার কুইক সাপোর্ট অ্যাপ।
এটা ডাউনলোড করা মাত্র অ্যানড্রয়েড মোবাইলের স্ক্রিনে কয়েকটি ‘অপশন’ আসছে। যাতে বলা হচ্ছে, রিমোটের কায়দায় আপনার মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে অন্য কম্পিউটার বা ফোন থেকে। পাশাপাশি, এই মোবাইল থেকে ফাইল, তথ্য সরানো যাবে অন্য মোবাইল বা কম্পিউটারে। প্রযুক্তি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় অধিকাংশ পেটিএম গ্রাহক টিম ভিউয়ার কুইক সাপোর্ট অ্যাপের এই শর্তে রাজি হচ্ছেন। ফলে দুষ্কৃতীদলটি ওই পেটিএম গ্রাহকের মোবাইলের সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।
এরপর দুষ্কৃতীদলটি গ্রাহককে তাঁর ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড থেকে ১০ টাকা করে পাঠাতে বলছে। যখনই একজন গ্রাহক টাকা পাঠাতে যাচ্ছেন তখনই তাঁর ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, পিন, সিভিভি, ওটিপি-এর মতো গোপন তথ্য দেখতে পাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এরপর ওই তথ্যকে কাজে লাগিয়ে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। কেওয়াইসি আপডেটের নামে এভাবে টাকা আত্মসাৎ করার জেরে পেটিএম গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অনেকের মনে হয়েছে, টাকা হাতাচ্ছে পেটিএম-ই। কিন্তু গোয়েন্দারা বলছেন, পেটিএম এর নাম ব্যবহার করে এই কাজ করছে একদল দুষ্কৃতী। যেমন আগে স্টেট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি কায়দায় ওটিপি হাতিয়ে টাকা সরানো হচ্ছিল।
উল্লেখ্য, কলকাতায় এমন জালিয়াতি এই প্রথম নয়। এরআগে প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় ওলা–উবের বুক করতে গিয়ে ৪০ হাজার টাকা খুইয়েছিলেন একজন চিকিৎসক। সেবার অবশ্য ‘এনি ডেক্স’ অ্যাপ ব্যবহার করেছিল দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি, সাম্প্রতিককালে শহরে এমন অ্যাপ ডাউনলোড করে স্যুইগি, জোম্যাটো থেকে টাকা ফেরত নিতে গিয়ে অনেকে প্রতারিত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে গোয়েন্দাদের পরামর্শ—
* অজানা অচেনা কারও কথায় গুগল প্লে স্টোর থেকে মোবাইলে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না
* আপনার ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের নম্বর, পিন, সিভিভি কোনও অ্যাপে শেয়ার করবেন না
* বিপদে পড়লে তড়িঘড়ি কলকাতা পুলিসের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি শাখার হেল্প লাইন নম্বরে(85850-63104) ফোন করুন