বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কথা হচ্ছিল ফুটপাত লাগোয়া কয়েকজন হকারের সঙ্গে। গতকালের ঘটনার ঘোর এখনও তাঁরা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। নাসিম নামে এক হকারের বক্তব্য, ওই অফিসে যে গোলমেলে কিছু একটা হয়, তা তাঁরা আগেও শুনেছিলেন। কাজকর্মের ফাঁকে ওই অফিস নিয়ে মাঝেমধ্যে চর্চাও চলত। এমনকী তিনি এও জানতেন যে, সংস্থার মালিক কলকাতায় থাকেন না। টাকা ওড়ানোর ঘটনার পর তাঁরা নিশ্চিত, তাঁদের অনুমান ভুল ছিল না। তবে ওই অফিসে আট-দশ লাখ নয়, কোটি টাকা ছিল বলে তাঁর ধারণা। এমনকী এদিন সকালেও বহুতলের জানালায় আটকে থাকা কয়েকটি পাঁচশো টাকার নোট হাওয়ায় উড়ে বাড়ির নীচে পড়েছে। যা কুড়িয়েছেন বহুতলের নিরাপত্তারক্ষীরা। এই অফিসে কত টাকা ছিল, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার হকার থেকে শুরু করে স্থানীয় দোকানদাররা আলোচনায় মত্ত থেকেছেন দফায় দফায়। তল্লাশিতে আসা ডিরেক্টর অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের অফিসাররা কী পেয়েছেন, তা জানতে উৎসুক ছিলেন সকলেই।
অন্যদিকে ডিআরআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, বছর তিনেক আগে একটি পুরনো মামলার তদন্তে ওই সংস্থায় তল্লাশি চালানো হয়। সংস্থার ডিরেক্টর পদে চারজন রয়েছেন। খাতায়-কলমে তারা দেখিয়েছে, এই সংস্থা বাংলাদেশ সহ বেশ কয়েকটি দেশে জামাকাপড় রপ্তানি করেছে। এমনকী চালও পাঠিয়েছে কখনও-সখনও। কিন্তু পণ্য না পাঠিয়েই সরকারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে। এর ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। ডিআরআই জানতে পেরেছে, একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খোলা হয়েছিল। এই সব সংস্থার সঙ্গে কাগুজে লেনদেন দেখানো হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশে যে সব কোম্পানিতে মাল পাঠানোর কথা বলা হয়েছে, সেগুলিরও বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই। সবটাই হয়েছে কাগজে-কলমে। আসলে লেনদেন দেখিয়ে হাওলার মাধ্যমে টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এরপর তা আবার কলকাতার অফিসে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যার পুরোটাই চলেছে কোম্পানির আধিকারিকদের মদতে। সূত্রের খবর, এই সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআইও তদন্ত চালাচ্ছে।