বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তিনটি ফেজের মধ্যে দু’টি ফেজেই দফায় দফায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সিইএসসি। কিন্তু বাইরের কোনও সমস্যা এটা নয় বলেই স্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরাই। গত বছর এরকম একটি সমস্যার ফলে সিইএসসির লোকজন এসে জেনারেটর দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন। এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, টেকিপ বিল্ডিং সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ল্যাবে বিদ্যুৎ ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পাঁচ কিলোভোল্টের ইউপিএস দিয়ে কোনওরকমে সার্ভারগুলি চালিয়ে রাখা গিয়েছিল। কিন্তু কিছু জায়গায় এতক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল যে সার্ভারও বন্ধ রাখতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়েন যখন বিভিন্ন সংস্থা থেকে নিয়োগের জন্য আসা প্রতিনিধিরা এর ভুক্তভোগী হন। টেকিপ বিল্ডিংয়েই মূলত প্লেসমেন্টের প্রেজেন্টেশন বা ইন্টারভিউ হয়। এদিন সেখানে বিদ্যুৎ সংয়োগ ছিল না। যে দু’টি আইটি সার্ভিসেস এবং ইলেকট্রনিক্স নির্ভর সংস্থা প্রেসমেন্টের জন্য এসেছিল, তাদের কেমিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্থানান্তরিত করতে হয়। একটি সংস্থার ক্ষেত্রে প্রেজেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তা ছিল না। কিন্তু অন্য একটি সংস্থার প্রেজেন্টেশন করাতে হয় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। যদিও, প্লেসমেন্ট সেলের এক আধিকারিক বলেন, পাওয়ার ট্রিপ যে কোনও জায়গাতেই হতে পারে। তবে, সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রছাত্রী এবং ইন্টারভিউয়ারদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্লেসমেন্টের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য নিজেও প্লেসমেন্ট কমিটিতে রয়েছেন। তিনিও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিন কোয়ার্টারগুলিতে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বেশ কিছু স্কুলেও কর্মী এবং গবেষকরা এই কারণে সমস্যায় পড়েন। এক গবেষক বলেন, এখন ঘরগুলি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় জানালার ব্যাপার নেই। তাই প্রাকৃতিক আলো বাতাসে যে কাজ করা যাবে, সেই উপায়ও ছিল না। দুপুর পর্যন্ত কাজকর্ম শিকেয় উঠেছিল। একজন প্রবীণ শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ট্রান্সফরমার বা সাজসরঞ্জাম রয়েছে, সেগুলি কোয়ার্টারের বিদ্যুতের চাপ নিতে পারে না। সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, দু’টি ফেজে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। প্লেসমেন্ট চলাকালীন ছাত্রছাত্রী এবং সংস্থার প্রতিনিধিদের স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংবহন ব্যবস্থায় কোন জায়গায় ত্রুটি, তা দেখা হচ্ছে। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বলেন, আমি সকাল থেকে পুস্তক পর্ষদের বৈঠকে ছিলাম। সেখানেই ডিন অব আর্টস আমাকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় ক্লাসকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই ইঞ্জিনিয়ারকে তা দেখার জন্য অনুরোধ করেছি। তবে, কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও মেরামতির প্রয়োজন থাকলে পুজোর ছুটির মধ্যে তা করা হবে।