বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিকে, বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে দু’জন জখম হলেন মেটিয়াবুরুজের উমেশ নিয়োগী রোডে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দোতলা বাড়িটি আগেই পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। টানা বর্ষণের জেরে দোতলা বাড়ির ছাদটির একাংশ নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। রবিবার দুপুরে আচমকাই সেই অংশ ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে যান দুই বাসিন্দা অসিত শূর ও রুমি শূর। কোনওরকমে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। পুলিস এবং পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দল সেখানে পৌঁছে যায়। আহতরা জানিয়েছেন, দুপুরে আচমকাই তাঁদের উপর ছাদের ওই অংশটি ভেঙে পড়ে। মাথায় আঘাত লেগেছে। যদিও এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুরকর্মীরা গিয়ে বাকি বিপজ্জনক অংশ ভেঙে দেন।
পুরসভা সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতার প্রায় সর্বত্র জমা জল নিষ্কাশিত হয়েছে। যদিও দক্ষিণে আলিপুর বডিগার্ড লাইনে, পূর্ব কলকাতার চায়না টাউনের কাছে রবিবার সন্ধ্যাতেও প্রায় হাঁটুসমান জল দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বেহালা-ঠাকুরপুকুরের প্রায় সর্বত্র জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। যা নিয়ে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। নেমেছে নৌকাও। পুরসভার নিকাশি বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, ১৮৬ মিমি বৃষ্টি হওয়ায় শহর বিপর্যস্ত হয়েছিল। কিন্তু শনিবার বিকেল থেকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় এবং গঙ্গার লকগেট সন্ধ্যার পর খুলে দেওয়ায় জমা জল দ্রুত নিষ্কাশিত হয়েছে। মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, শহরের প্রায় সব জায়গাতেই জল নেমে গিয়েছে। যেখানে জল এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেখানে পাম্প বসিয়ে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তবে বডিগার্ড লাইনের জমা জল নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন পুরকর্তারা। জল না নামায় পুলিস আবাসনের বাসিন্দারা চরম সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের কথায়, প্রতিবার বর্ষাতে আমাদের চরম নাজেহাল হতে হয়। নৌকা বা বোট নামাতে হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ঘরবন্দি অবস্থায় আমাদের থাকতে হচ্ছে। পুলিসের একাধিক কর্মীও বলেন, পুরসভাকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটা প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বডিগার্ড লাইনের জল চিড়িয়াখানা হয়ে পার্শ্ববর্তী খালে পড়বে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বডিগার্ড লাইনে জল নেমে যাবে। তিনিও দীর্ঘদিনের এই সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।