বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সারদা-রোজভ্যালি বাদে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্যান্য যে সমস্ত চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই, তাদের নিয়ে এতদিনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। এই সমস্ত সংস্থার সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগসূত্র খুঁজে বের করার কাজ চলছে। যাতে উধাও হয়ে যাওয়া টাকা কাদের কাছে গেল, তা জানা যায়। তার পদক্ষেপ হিসেবে এদিন চক্র গ্রুপের সংস্থা চক্র ইনফ্রাস্ট্রাকচারে হানাদারি চলে। ২০১৭ সালের জুন মাসে এই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। প্রতারণা, ষড়যন্ত্র বিশ্বাসভঙ্গ সহ একাধিক ধারায় মামলা হয় সংস্থার ডিরেক্টর পার্থ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। চক্র গ্রুপ উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, বিহার ও ত্রিপুরার একাধিক জায়গায় অফিস খোলে। এতদিন ধরে এই সংস্থার বিরুদ্ধে খোঁজখবর চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, সারদা-রোজভ্যালির কায়দাতেই বিপুল পরিমাণ টাকা তুলেছে তারা। কম সময়ে আমানতকারীদের বিপুল টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সারদা-রোজভ্যালির কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর তাদের ব্যবসাও লাটে ওঠে। পালিয়ে যান কোম্পানির ডিরেক্টর সহ অন্যান্যরা। সিবিআই সমস্ত কিছু জোগাড় করার পরই এদিন তল্লাশি চালায়।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় হানাদারি চলেছে। মূলত সংস্থার অফিস ও ডিরেক্টরদের বাড়িতে তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা যান। একইসঙ্গে পাটনা ও ত্রিপুরাতেও তল্লাশি চালানো হয়। অফিস তালাবন্ধ ছিল। ডিরেক্টরদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে তালা খোলা হয়। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় টাকা লেনদেনের একাধিক কাগজপত্র। প্রাথমিকভাবে সিবিআই জেনেছে, এই সংস্থা নিয়ম ভেঙে বাজার থেকে একশো কোটি টাকা তুলেছে। কিন্তু এর পরিমাণ আরও দশ গুণ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কারণ হিসেবে তাঁদের ব্যাখ্যা, যে পরিমাণ অভিযোগ এসেছে তাতে টাকার অঙ্ক বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। তদন্তে উঠে এসেছে, এই সংস্থা একাধিক ভুয়ো লেনদেন দেখিয়েছে। সংস্থার কর্তারা বেনামে একাধিক কোম্পানি খুলে লেনদেন দেখিয়ে ঘুরপথে টাকা বাইরে নিয়ে গিয়েছেন। একাধিক জমির ডিড পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এরাজ্য সহ অন্যরাজ্যেও তাদের একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। সেগুলি কোম্পানির নামে, নাকি ডিরেক্টরদের ব্যক্তিগত নামে, তা নিয়ে খোঁজখবর চলছে। পাশাপাশি অফিসাররা জেনেছেন, এই সংস্থার কর্ণধারের সঙ্গে একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগাযোগ ছিল। তাঁরা এই চিটফান্ড সংস্থার অফিসেও আসতেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁরা কোম্পানিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে আলাদা করে খোঁজখবর শুরু করেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।