বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পর পর দু’দফায় ডায়মন্ডহারবার পুরসভা দখল করে জোড়া ফুল। গত সেপ্টেম্বর মাসে পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন করা হয়নি। প্রশাসক বসিয়ে তা চালানো হচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরবার পরও এই পুর শহর তৃণমূলের সঙ্গেই ছিল। কিন্তু এবার তা হয়নি। শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৪৬১টি ভোট। সেখানে বিজেপির নীলাঞ্জন রায় পেয়েছেন ৯৭১টি ভোট। ৫১০ ভোটে লিড দিয়েছে বিজেপি। ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ৫১০, বিজেপি পেয়েছে ১০৯০। উল্লেখ করা প্রয়োজন, এই ওয়ার্ডটি বিজেপি অধ্যুষিত। এখান থেকে বিজেপির প্রাক্তন কাউন্সিলার কৃষ্ণা বেরা জিতেছিলেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডটি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান পান্নালাল হালদার। সেখানে তৃণমূল পেয়েছে ৩৪৪, বিজেপি পেয়েছে ৫০৪ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ৪০৯, বিজেপি পেয়েছে ৮০৯। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ১৪৭৪, বিজেপি পেয়েছে ১০৪৬। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল জিতেছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ৬৭৫। সেখানে বিজেপি পেয়েছে ১২০৩ ভোট।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে অভিষেক পেয়েছেন ৩৯৪, নীলাঞ্জন পেয়েছেন ৭৯৩ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ৪৩৭ ভোট, বিজেপি পেয়েছে ৫৮০ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ৭৬০, বিজেপি পেয়েছে ১৪২০ ভোট। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ৯৭৪, বিজেপি ৮৫৫। এখানে তৃণমূল জিতেছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ৪২৪, বিজেপি পেয়েছে ৭৭৩। এই ওয়ার্ডটি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মীরা হালদারের। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ৫৬১, বিজেপি পেয়েছে ৭৪৬ ভোট। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডটি ৭৭৩, বিজেপি পেয়েছে ৮৭৫ ভোট। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ৬৪৬, বিজেপি পেয়েছে ৭০৮ ভোট। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ১৩১৬, বিজেপি পেয়েছে ৭৮৬ ভোট। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ৯৮৬, বিজেপি পেয়েছে ৯০৪ ভোট।
দলের একাংশ জানিয়েছে, শহরে নব্য ও দলের মূল সংগঠনের অন্তর্কলহ, এক শ্রেণীর নেতাদের দাদাগিরি, চাকরি নেওয়ার নামে টাকা তোলা, সরকারি জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ, পুকুর বোজানো, বেহাল পুর পরিষেবা, পানীয় জলের সঙ্কট, বিরোধী দলের উপর অত্যাচার, বসে যাওয়া দলের কর্মীদের নামে মিথ্যা কেস দেওয়ার বিষয়গুলি মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। তারই প্রভাব পড়েছে ভোটে। ডায়মন্ডহারবার-১ ব্লক সভাপতি উমাপদ পুরকায়েত বলেন, কিছু নিচুতলার নেতাদের অহংকার, আচার আচরণ নিয়ে সত্যিই প্রশ্ন আছে। পদ পেলেই মনে করে সব ক্ষমতা পেয়ে গিয়েছি। তবে এই কারণে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে-কি না তা যাচাই করা হবে। তবে সারা দেশের মতো এখানেও ভোটে মেরুকরণ হয়েছে।