বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আমডাঙায় বিপুল ভোটে তৃণমূল লিড পেলেও বীজপুর, ভাটপাড়ায় বিজেপি ভালো লিড পেতে থাকে। বারাকপুর, নৈহাটিতেও তৃণমূলের ভরাডুবি হয়। কোনওরকমে নোয়াপাড়ায় সামান্য পরিমাণ তৃণমূল লিড পান। মার্জিনের নিরিখে অর্জুন এগিয়ে থাকতে শুরু করায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা গণনা কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, গণনা কেন্দ্রের বাইরে সবুজ আবির নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত হয়েছিলেন। কিন্তু, দলীয় প্রার্থী পিছিয়ে যাওয়ার খবর পেতেই তাঁরা এলাকা ছেড়ে চলে যান। অন্যদিকে, দলীয় প্রার্থী জিতছেন জানতে পেরেই গণনাকেন্দ্রে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। দুপুরের পর থেকেই গেরুয়া আবিরে গণনাকেন্দ্রের বাইরে রাস্তা ভেসে যায়। গণনাকেন্দ্রের ভিতরে দলীয় কর্মী, সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে গেরুয়া আবির খেলেন। ফল ঘোষণার আগেই বিকেল থেকেই গেরুয়া শিবিরে রীতিমতো উৎসব শুরু হয়ে যায়।
জয়ের বিষয়ে অর্জুন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপোর সঙ্গে আমার লড়াই। সব লোকসভায় হারলেও এই লোকসভায় জেতাটা তাঁর কাছে সম্মানের লড়াই ছিল। এই লোকসভায় তিনি তিনটে সভাও করেছিলেন। এই লোকসভার মানুষ তাঁকে আর মেনে নেয়নি। এই জয় মানুষের জয়। তাই তাঁদের আমি এই জয় উৎসর্গ করলাম। মমতা ছাড়াও পুলিস, গুন্ডা দিয়ে আমাকে হারানোর চেষ্টা করেছিল। দলীয় কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এক হাজার কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানুষ এই অন্যায়ের এবার প্রতিশোধ নিয়েছে। আর ভাটপাড়া শান্ত রাখার জন্য পুলিস-প্রশাসনের কাছে আমি আবেদন রেখেছি। ভাটপাড়ায় গিয়ে মানুষের কাছে হাতজোড় করে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাব।
অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদি বলেন, বীজপুর, নৈহাটিতে জয় পাব আশা করেছিলাম। তা হল না। মানুষের এই রায়কে মেনে নিতে হবে। জয়ী প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।