বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন সকালে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা কর্মী বৈঠক করেন। সেখানে যাদবপুর, টালিগঞ্জ, সোনারপুর উত্তর, সোনারপুর দক্ষিণ, বারুইপুরে তৃণমূলের সঙ্গে প্রচারে টক্কর দেওয়ার বিষয়ে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বিকেলে চম্পাহাটি ব্রিজ থেকে ঘাষিয়ারা পর্যন্ত জনসংযোগ যাত্রা করেন প্রার্থী। পথে যাওয়ার সময় অধিকাংশ জায়গাতে গাড়ি থেকে নেমে ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে নেন। বৃদ্ধ, বৃদ্ধাদের কাছে গিয়ে আশীর্বাদ চেয়ে নেন। তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী এদিন সকাল ৮ টা থেকে বারুইপুর পশ্চিমের খাসমল্লিক, গোবিন্দপুর, হরিহরপুর এলাকায় প্রচারে নামেন। বেশ জমকালো রোড শোয়ে আগে আগে ছিল অসংখ্য ঢাকি। হুডখোলা জিপে ছিলেন মিমি। তাঁর সঙ্গে বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। অভিনেত্রী প্রার্থীকে দেখার জন্য রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। কোথাও কোথাও গাড়ি থামিয়ে ভোটারদের অটোগ্রাফ দিতে হয়েছে তাঁকে। ১১ টা পর্যন্ত এই রোড শো চলে। সন্ধ্যায় সোনারপুরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে যান তিনি। সিপিএম প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্য সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কখনও কর্মী বৈঠক, কখনও সমর্থকদের নিয়ে পদযাত্রা করেন। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল, এসইউসি প্রার্থী জয়কৃষ্ণ হালদার, বামফ্রন্ট প্রার্থী সুভাষ নস্কর, বিজেপি প্রার্থী ডাঃ কাণ্ডারি ভোট প্রচার করেন। বিজেপি প্রার্থী পুজো দিয়ে ক্যানিং-১ ব্লকের গোপালপুর, ইটখোলা, সাতমুখীতে কখন হেঁটে, কখনও গাড়িতে প্রচার করেন। সেখানে তাঁকে শাঁখ বাঁজিয়ে এলাকার মানুষ আপ্যায়ন করেন। মগরাহাট-২ ব্লকে বিজেপির কর্মী বৈঠক হয়। সেখানে জেলা সভাপতি সুনীপ দাসের হাত থেকে পদ্মফুলের পতাকা তুলে নেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০০ সমর্থক। সভাপতি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সহ সভাপতি সুবিদ আলি খালাশি, হোটর পঞ্চায়েতের সদস্য প্রদীপ সাহা এবং মুলটি হাইস্কুলের সভাপতি অশোক কর্মকার বিজেপিতে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, প্রদীপবাবু মগরাহাটের বিধায়ক নমিতা সাহার ভাইপো। মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী চৌধুরি মোহন জাটুয়া এদিন মগরাহাট পশ্চিমে প্রচার করেন। দুপুরে চড়া রোদের মধ্যে তিনি সমর্থকদের নিয়ে পদযাত্রা করেন কয়েক কিলোমিটার রাস্তা। বিজেপি প্রার্থী শ্যামাপ্রসাদ হালদার এদিন সাগরে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচারে বের হন। তাঁর সঙ্গে জেলা সভাপতি অভিজিৎ দাস ছিলেন। এরপর গ্রামের মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস প্রার্থী কৃত্তিবাস সর্দারের সমর্থনে পাথরপ্রতিমা ব্লকে কর্মী সভা হয়। সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন বক্তারা। সিপিএম থেকে বেশ কয়েকজন যোগ দেন কংগ্রেসে। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে বিভিন্ন জায়গাতে পথসভা ও প্রচার হয়। কংগ্রেস প্রার্থী সৌম্য রায় আইচ মেটিয়াবুরুজে প্রচার করেন। বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়ের সমর্থনে ডায়মন্ডহারবারে পথসভা হয়। সেখানে প্রার্থী ছাড়াও রাজ্য ও জেলার নেতারা হাজির ছিলেন। তবে সন্ধ্যার সময় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য সভা শেষ করে দিতে হয়।