বিএনএ, বারাসত: বাগদার ভরা বাজারে দম্পতির চায়ের দোকান। কিন্তু, তার আড়ালেই গোপনে চলছিল গাঁজার রমরমা কারবার। অবশেষে গাঁজা কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করল বাগদা থানার পুলিস। রবিবার রাতে তাদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, তাদের হেফাজত থেকে ১৯ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাও উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত দম্পতির নাম প্রশান্ত রায় ওরফে নিতাই রায় এবং চপলা রায়। পুলিস জানিয়েছে, তারা চায়ের দোকানেই গাঁজার পুরিয়া করে বিক্রি করত। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগদা বাজারের পশ্চিমপাড়া এলাকায় ওই দম্পতির চায়ের দোকান। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের চায়ের দোকান খোলা থাকে। গাঁজা কেনার জন্য তাদের দোকানে স্থায়ী ক্রেতারাই বেশি যেত। ওই দম্পতি বাইরে থেকে গাঁজা কিনে এনে দোকানে কাগজের ছোট বড় নানা সাইজের পুরিয়ায় ভরে রাখত। ক্রেতারা চা খেয়ে টাকা দেওয়ার সময় ওই গাঁজা পুরিয়া নিয়ে যেত। এভাবেই চায়ের দোকানের আড়ালে গাঁজার কারবার চলছিল অনেকদিন ধরেই। তবে, পুরিয়া করে বিক্রির পাশাপাশি গাঁজার পাইকারি কারবার করত বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই ধীরে ধীরে জানতে শুরু করেছিলেন ওই চায়ের দোকানে গাঁজার পুরিয়া বিক্রি হয়।
সম্প্রতি, ওই খবর বাগদা থানার পুলিসের কাছেও পৌঁছায়। তারপরই আচমকা অভিযান করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিস। রবিবার রাতে বাগদা থানার একদল পুলিস ওই চায়ের দোকানে গিয়ে হানা দেয়। সেখান থেকেই ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু গাঁজার পুরিয়া উদ্ধারের পাশাপাশি দু’টি প্যাকেটে ভরা সাড়ে ১৯ কিলো গাঁজা পাওয়া যায়। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা জেরায় এই কারবারের কথা কবুল করেছে। মাদক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় দু’জনের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। তাদের দু’জনকেই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিস জানিয়েছে, ওই দম্পতি কতদিন ধরে এই গাঁজা কারবার চালাচ্ছিল, তাদেরকে কে বা কারা ওই গাঁজা সরবরাহ করত, কোথা থেকে ওই গাঁজা নিয়ে আসা হত বা নিয়ে আসত, এই সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।