বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আগামী ২৩-২৫ মার্চ অজিতেশ মঞ্চে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে সেতার, বাঁশি, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, নাটক, সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেরই বিজ্ঞাপন দিয়ে আকর্ষণ বাড়াতে লেখা হয়েছে কাজিপাড়ায় আবার বিস্ফোরণের কথা। এমনই দাবি উদ্যোক্তাদের একাংশের। কাজিপাড়ায় যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানকারই বাসিন্দা রণবীর বিশ্বাস ওই বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘কাজিপাড়ায় আবার বিস্ফোরণ’ ওই ধরনের লেখা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। আকর্ষণ বাড়াতে হলে অন্য শব্দ ব্যবহার করতে পারত। এখানকার বাসিন্দা হিসেবে বলতে পারি ওই ঘটনার এখনও কিনারা হয়নি। তার উপর আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য বিস্ফোরণ লেখা ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, আমাদের মধ্যে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে আতঙ্ক এখনও তাড়া করছে। ওরকম তীব্র ঘটনাকে ওভাবে ব্যবহার করায় আমাদের খুব খারাপ লাগছে। উদ্যোক্তাদের কাছে অনুরোধ করব, তাঁরা যেন অবিলম্বে ওই হোর্ডিং খুলে নেয়। বিজ্ঞাপনের নীচে লেখা রয়েছে ওই অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন কাজিপাড়া উন্নয়ন পর্ষদ। ওই পর্ষদের সভাপতি পার্থপ্রতিম চৌধুরী সোমবার দুপুরে কাজিপাড়ায় দাঁড়িয়ে অবশ্য জানালেন, তাঁরা বোঝাতে চেয়েছেন অন্য বিষয়। তাঁর বক্তব্য, বিস্ফোরণের পর কাজিপাড়া সম্পর্কে মানুষের মনে একটা খারাপ ধারণা তৈরি হয়। এটা শান্তিপ্রিয় জায়গা, এখানে একটা সাংস্কৃতিক জগৎ আছে, সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছি। ওই লেখার বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত নয়। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দক্ষিণ দমদম পুরসভার পুরপ্রধান পাচু রায় জানান, তিনি বলেন, কেউ তাঁর নাম দিয়ে দিয়েছে। পরে বলেন, বোম ব্লাস্ট হয়েছে, মানুষ মারা গিয়েছে এটা দুঃখজনক ঘটনা। হোর্ডিংটা দেখেছি আমি। আমার মনে হয়, এটা অন্যরকম ভাবে ভাবা হয়েছে। সাংস্কৃতিক অন্যরকমের ব্যাপার হচ্ছে। বোমব্লাস্টই যে হয় না, অশান্তি হয় না, ভালো কাজও হয় সেটা বোঝাতেই এটা দেওয়া হয়েছে।