বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এক প্রশ্নের উত্তরে অর্জুন সিংয়ের নাম না করে তাঁকে কটাক্ষবাণে বিঁধে পার্থবাবু বলেন, যে বা যাঁরা মমতার ছবি নিয়ে নেতা হলেন এবং পিছন থেকে ছুরি মারার ব্যবস্থা করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত জনবিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে ভাটপাড়া তথা বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমের কয়েকজন উল্লেখযোগ্য মুখ তৃণমূলে যোগ দিলেন। এদিন যাঁরা বিভিন্ন দল ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেন পার্থবাবু। এই পর্বে ছিলেন অর্জুন সিংয়ের এক ভাইপো তথা সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য সঞ্জয় সিং, আরেক আত্মীয় তথা বিজেপির বারাকপুর মহকুমা কমিটির সম্পাদক প্রমোদ সিং, কংগ্রেসের সোমনাথ শ্যাম এবং রাজকুমার যাদব এবং গত বিধানসভা নির্বাচনে ভাটপাড়া কেন্দ্রে বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জিতেন্দ্র সাউ (জিতু)। তবে তৃণমূলের এদিনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ধরমপাল গুপ্তা। ভাটপাড়ার বাসিন্দা পোড়খাওয়া এই রাজনীতিবিদ বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের পরিচিত মুখ। তৃণমূল ভবনে এই যোগদান পর্ব চলাকালীন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সোমনাথ তালুকদারের নেতৃত্বে বারাকপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কয়েকশো মানুষ লাগাতার তৃণমূল এবং মমতার নামে জয়ধ্বনি করে চলছিল।
পার্থবাবু জানিয়েছেন, দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন সিংয়ের বিধায়ক পদ খারিজ করার দাবিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানাবে তৃণমূল। এরই পাশাপাশি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ভাটপাড়ার বিধায়ককে ছ’বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করার কথাও ঘোষণা করেছেন তৃণমূল মহাসচিব। এদিনই দলের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় টিটাগড় থানায় অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। এদিন এক প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির নাম না করে পার্থবাবু বলেন, গণতান্ত্রিক কাঠমো নিয়ে যে দল এত বড়াই করে, সেই দল এখন অন্য দলের বাতিল আর উচ্ছিষ্ট নিয়ে প্রার্থী তালিকা সাজাচ্ছে। পার্থবাবুর দাবি, ভাটপাড়া পুরসভায় কোনও হেরফের হচ্ছে না। পুরসভা চালাতে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, তা তৃণমূলের রয়েছে।
এদিকে, ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তৃণমূলের সমস্ত স্তরের কমিটি ভেঙে দেওয়া হল বলে এদিন জানিয়েছেন জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয়বাবু। তিনি বলেন, ভেঙে দেওয়া হয়েছে মূল সংগঠন, ছাত্র, যুব, মহিলা এবং ট্রেড ইউনিয়নের মতো সমস্ত শাখা সংগঠনের সব কমিটি। এখন থেকে লোকসভা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন নির্বাচন কমিটিই সংগঠনের যাবতীয় কাজ দেখভাল করবে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু জানান, ১০ থেকে ১৫ জনের এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে ধরমপাল গুপ্তাকে। ভাইস চেয়ারম্যান দু’জন হলেন, জিতেন্দ্র সাউ (জিতু) ও সোমনাথ শ্যাম। যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে নাসির খান ও প্রমোদ সিংকে।