বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বেসরকারি বাস পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের অন্ত নেই। রেষারেষি, নিজেদের খেয়ালখুশি মতো বাস চালানোর মতো গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ ওঠে নিত্যদিন। যাত্রীদের বক্তব্য, বাসে যাত্রীর পাশাপাশি মালপত্রও তোলা হয় একাধিক রুটে। তাতে বাসের মধ্যে দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। মালপত্র তোলা নিয়ে বাসকর্মীদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয় না। যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি বিরক্ত খেয়ালখুশি মতো বাস চালানোয়। তাঁদের বক্তব্য, রাস্তায় চলতে চলতে মাঝেমধ্যেই দাঁড়িয়ে পড়ে বেসরকারি বাস। পিছনের বাসের দেখা মিললে আবার সাঁই সাঁই দৌড়। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। এসবের জন্যই যাত্রীরা বেসরকারি বাসের উপর থেকে ক্রমে ভরসা হারাচ্ছেন। একই রুটে সরকারি ও বেসরকারি বাস থাকলে, যাত্রীরা প্রথমে সরকারি বাসেই সফর করতে চেষ্টা করছেন। বেসরকারি বাস মালিকদের নয়া তৎপরতায় তাই ইমেজ ফেরানোর তাগিদ লক্ষ্য করছেন কেউ কেউ।
নয়া অ্যাপ থেকে কী পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা? জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসলে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চলছিল। এই বিশেষ অ্যাপটি খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে। অ্যাপের অধীনে প্রায় সাড়ে চার হাজার বাস রয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে সেসব বাসের অবস্থান জানতে পারবেন যাত্রীরা। তাতে স্টপে দাঁড়িয়ে অযথা দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না যাত্রীদের। দ্বিতীয়ত, এই অ্যাপটি থেকেই যাত্রীরা আগাম টিকিট কাটতে পারবেন। ইতিমধ্যেই কয়েকটি রুটে পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই ব্যবস্থায় টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। কত টিকিট বিক্রি হল, তার হিসেব রাখা সহজ হবে। বাসের অবস্থান মালিকরাও দেখতে পারবেন। তাতে রুট ভেঙে বাস ছুটলে কর্মীদের সতর্ক করা যাবে। ফলে পরিষেবার মানও আগামীদিনে উন্নত হবে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমও প্রথম পর্যায়ে কয়েকটি রুটে ‘মোবাইল টিকেটিং সিস্টেম’ খুব শীঘ্রই চালু করতে চলেছে বলে খবর। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বাসেও এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।