বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আগে বেলগাছিয়ার দিকে থাকলেও, দীর্ঘদিনই বাড়ি করে কালিন্দীর প্রগতি কলোনিতে থাকছেন কর পরিবার। অনুষ্কার বাবা দেবব্রত করের দত্তবাগানে একটি মুদিখানার ব্যবসা রয়েছে। বছর দুয়েক আগে মেয়ে অনুষ্কাকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন।
অনুষ্কার জেঠিমা জানান, এখন সে কেজি টু’তে পড়ে। কেজি ওয়ান থেকে কেজি টু’তে ওঠার সময়েও সে স্কুলের পরীক্ষায় স্ট্যান্ড করেছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ এবং আঁকার প্রতিও তার বিশেষ আগ্রহ ছিল। বছর খানেক আগে নিজেই বাবাকে বলেছিল, নাচ এবং আঁকা শিখবে। তাই সেগুলি শেখার জন্য ক্লাসে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছিল অনুষ্কাকে। সবে ছয় বছরে পা দেওয়া অনুষ্কা সেখানেও যথেষ্টই পারদর্শী হয়ে উঠছিল বলে পরিবারের দাবি।
প্রতিবেশীরা আরও জানিয়েছেন, ছোট্ট থেকেই অনুষ্কা পাড়ায় খুব মিশুকে ছিল। তাই যে কোনও কারও কাছেই সে অনায়াসেই চলে যেত। প্রতিবেশী একজন বলেন, তাঁদের বাড়িতে সবসময় যাওয়া আসা করত। খুব মিষ্টি করে সকলকে ডাকত, তাই অনায়াসেই প্রতিবেশীদেরও মন জয় করে নিত ছোট্ট অনুষ্কা। তার আচমকা মৃত্যুর খবরে স্বভাবতই ভেঙে পড়েছে গোটা পাড়াও।
কর পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে বাড়িতে পুজো রয়েছে, ছোট্ট হয়েও অনুষ্কা তার প্রস্তুতিতেও গত কয়েকদিন ধরে বেশ উৎসাহের সঙ্গেই ছিল। আজ যাতে বাড়ি ফিরতে কোনওভাবেই দেরি না হয়ে যায়, তাই স্কুলে যাওয়ার সময়ই মাকে জানিয়েছিল, তাকে স্কুলে নিতে আসতে যাতে দেরি না হয়। নিজের চোখের সামনে মেয়ের এই পরিণতিতে ভেঙে পড়েছেন সুস্মিতাদেবীও। ঘটনাস্থলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি এবং দেবব্রত দু’জনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রতিবেশীরাও বাড়িতে এসে শোক জানিয়ে যায়। প্রায় সকলের মুখে একটাই বিস্ময়, ‘অনুষ্কার মিষ্টি কথাগুলো আর শুনতে পাব না’!