বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই সভার মাঠ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল আগেই। তারপর শুরু হয় হেলিপ্যাডের জন্য গাছ কাটা নিয়ে বিতর্ক। ওই ঘটনা নিয়ে মোদির সভার আগেই গত ২৯ জানুয়ারি কয়েকজন ব্যক্তি এই গাছ কাটার বিরুদ্ধে বনগাঁর মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। মোদির সভা শেষ হওয়ার পরদিন অর্থাৎ গত ৩ ফেব্রুয়ারি আরও কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি গাইঘাটা থানায় স্মারকলিপি জমা দেন। ওইদিনই এই গাছ কাটার বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা মুকুল রায়, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর এবং জেলা বিজেপি নেতা তপন সিনহা এই তিনজনের নামে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গাইঘাটা ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ধ্যানেশনারায়ণ গুহ। পুলিসের পক্ষ থেকে বিষয়টি বনদপ্তরকে জানানো হয়।
অন্যদিকে, গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চেয়ে বনদপ্তরকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি চিঠি দিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বনদপ্তর তদন্ত করে খাদ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখ দেওয়া ওই চিঠি মঙ্গলবার হাতে পেয়েছেন মন্ত্রী। সেখানে ন’টি গাছ কাটা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। গাছগুলির বয়সও দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলছি, গাছ কাটা হয়েছে। এবার তা বনদপ্তরের তদন্তে প্রমাণিত হল। এবার দোষীদের শাস্তির দাবিতে আমরা বিষয়টি নিয়ে গ্রিন বেঞ্চের দ্বারস্থ হব।
অন্যদিকে, বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভা বানচাল করার জন্য প্রথমদিন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস একের পর এক চক্রান্ত করছে। তবুও শেষ পর্যন্ত সভা আটকাতে পারেনি। আমাদের কেউ গাছও কাটেনি। হেলিপ্যাডের জায়গায় মালিকের অনুমতি নিয়ে দু-একটি গাছের ডাল ছাঁটা হয়েছিল।