বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বলাগড়ের মহিপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সালারপুর গ্রামে ফাঁকা মাঠের মাঝে একটি বাড়িতে বিভা চড়ুই ও তাঁর স্বামী দিলীপ চড়ুই থাকেন। তাঁদের একমাত্র ছেলে সুরাটে কর্মরত। পেশায় দিনমজুর দিলীপবাবু অন্যান্য দিনের মতোই এদিন সকালে মাঠে কাজের জন্য বেরিয়ে যান। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়িতে দুধ দিতে এসে গোয়ালা বিভাদেবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশী ও পুলিসকে খবর দেন। পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
প্রতিবেশীরা এসে দেখতে পান উঠোনের কাছে বিভাদেবী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। ঘরের ভেতরে দুটি আলমারি হাট করে খোলা। আলমারির জিনিসপত্র ঘরের এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। প্রতিবেশীদের দাবি, এদিন সকাল ১০টা নাগাদ দুই যুবক বাইকে করে এসে বিভাদেবীর বাড়ির সামনে দাঁড়াতে দেখেছিলেন। কিছুক্ষণ বাদে তারা আবার চলেও যায়। তাই তাঁদের অনুমান, ছেলে বাইরে যাওয়ার পর দিলীপবাবুর পরিবার কিছুটা স্বচ্ছল হয়ে উঠছিল। তাই দিনের বেলায় বিভাদেবী একা থাকায় পরিকল্পনামাফিক ওই দুই যুবক ডাকাতির জন্য হাজির হয়। বিভাদেবী তাতে বাধা দেওয়াতেই প্রথমে কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে দরজার সামনে রাখা পাম্পার দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এরপর আলমারি ভেঙে সোনার গয়না ও টাকা পয়সা নিয়ে চম্পট দেয়।
স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েই বাড়ি ফিরে আসেন বিভাদেবীর স্বামী দিলীপ চড়ুই। তিনি বলেন, কীভাবে যে কী হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে আলমারির সোনা-রুপোর গয়না ও টাকা কিছুই নেই। আমি চাই কীভাবে আমার স্ত্রী খুন হল, পুলিস তার সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।