বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গড়িয়াহাট মোড়ের গুরুদাস ম্যানসনের যে অংশটি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই ১৬১বি ঠিকানাটি তিনজন মালিকের অধীনে। তার মধ্যে অন্যতম প্রবীর কুণ্ডু চৌধুরীর ছেলে প্রসেনজিৎ কুণ্ডু চৌধুরী বললেন, আমাদের ওই অংশে তিনজন মালিকপক্ষ রয়েছে। শাড়ি বিপণির কর্তৃপক্ষ একতলা এবং দোতলা ভাড়া নেয় ১৯৫০-৬০ সালে। ১৯৮৮ সালে আমরা আমাদের অংশের বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট বিক্রি করি। ২০০১ এবং ২০০৩ সালে কর্তৃপক্ষ সেই সময় তৃতীয় ও চতুর্থতলা কিনে নেয়। কিন্তু ওরা যে এক এবং দোতলা ভাড়া নেয়, সেখানে আমাদের না জানিয়ে বেআইনি নির্মাণ করে। আমরা যে তিনজন ওই অংশের মালিকপক্ষ রয়েছি, তাদেরকে ৬০০ টাকা করে মোট ১৮০০ টাকা দেয়। কিন্তু আমরা আলিপুর আদালতে এবং কলকাতা হাইকোর্টে বিপণি সংস্থার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ এবং বেআইনি নির্মাণের মামলা করেছি। তারপর থেকে আদালতে রায়ে আমাদের ভাড়া বাবদ যতটুকু টাকা পাওয়ার কথা, তা আদালতেই জমা পড়ে। দিনের পর দিন এই অল্প টাকাও আদালতে জমা পড়ছে। তাহলে বাড়ির সংস্কার করব কীভাবে? ভিতরে না হচ্ছে সংস্কার, না হচ্ছে অগ্নি নির্বাপণের আধুনিক ব্যবস্থা। অবশ্য, ট্রেডার্স অ্যাসেমব্লির অন্যতম মালিক মানবেন্দ্র সাহার কথায়, আদালত যেভাবে যা বলছে, তাই করা হয়েছে। বেআইনি নির্মাণ কোথাও নেই। ১৬১বি ঠিকানার অংশটি শনিবার গভীর রাতের আগুনে কার্যত ভস্মীভূত। সেই অংশের অন্যতম মালিক অসিত কুণ্ডু চৌধুরীর দাবি, বাড়ির নীচে হকাররা মালপত্র ঠাসা অবস্থায় রেখে দিয়েছে। গ্যারাজও প্রায় দখল। পুলিস, পুরসভা, দমকলকে জানানো হয়েছে। কিছুই সুবিধা হয়নি। ভাড়াবাবদ অর্থও অনেক কম। তাও নির্দিষ্ট সময়ে পাই না। সেকারণেই হালও ছেড়ে দিয়েছি।