বিএনএ, বারাসত: আগামীকাল শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায় হাজির হচ্ছেন দেশের তাবড় তাবড় বিরোধী রাজনৈতিক নেতা। তাঁরা প্রত্যেকেই দমদম বিমান বন্দরে নেমে ভিআইপি রাস্তা দিয়ে ব্রিগেডে যাবেন। তাই এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেট থেকে গোটা ভিআইপিজুড়ে আগত অতিথিদের ছবি দিয়ে ফ্রেমবন্দি কাটওয়াট টাঙানো হয়েছে। বেশিরভাগ ছবির নীচেই ওয়েলকাম লিখেও তাঁদের সম্মান জানানো হয়েছে। অন্ধপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডু, উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, দিল্লির আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা এইচ ডি দেবগৌড়া সহ প্রায় সকলেরই ছবির কাটওয়াট টাঙানো হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক একজন নেতার ৫০টি করে কাটওয়াট লাগানো হচ্ছে। গত দু’দিন ধরেই এই কর্মসূচি চলছে। এয়ারপোর্ট থেকে ভিআইপি রোডের বাঁ দিকের লেন হয়ে কলকাতার যাওয়ার পথে বেশি পরিমাণে কাটওয়াট দেওয়া রয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে নেমে ব্রিগেডে প্যারেড গ্রাউন্ডে যাওয়ার পথে বিরোধী নেতারাও ওই ছবি দেওয়া কাটওয়াট দেখতে পাবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমরা এয়ারপোর্ট থেকে ভিআইপি রোড বরাবর ইএম বাইপাস পর্যন্ত আগত প্রত্যেক অতিথি নেতাদের ছবির কাটওয়াট টাঙাচ্ছি। দলীয় নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ওই কাটওয়াটের মাঝে মাঝে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকাও লাগাবে। আমরা গোটা জেলাকে ব্রিগেডমুখী সজ্জায় সাজিয়ে তুলছি।
তিনি আরও বলেন, এয়ারপোর্ট থেকে ভিআইপি রোড ছাড়াও আমরা গোটা জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া অসংখ্য তোরণ তৈরি করেছি। ওই তোরণে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আমাদের দলের কোনও নেতার ছবি দেওয়া হয়নি। জেলার ৩৩টি বিধানসভাতেই একইরকমের বড় বড় তোরণ করা হয়েছে। এখন প্রতিটি ব্লক ও টাউনে বাড়ি ঘরোয়া বৈঠক করছেন দলীয় নেতারা। তিনি বলেন, বিধাননগর পুরনিগম সহ জেলার ২৭টি পুরসভা তৃণমূলের। যদিও পানিহাটি ও হাবড়ায় বর্তমানে প্রশাসক বসেছেন। জেলার ২২ ব্লকের ২২টি পঞ্চায়েত সমিতিও আমাদের দখলে রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ৫৭টি আসনে ৫৭টিই তৃণমূল। তাই সারা জেলা থেকে আমাদের কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্রিগেডে যোগ দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঐতিহাসিক জনসভায় আমাদের জেলা থেকে ছ’লক্ষের বেশি মানুষ হাজির হবেন।