গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার: সল্টলেকে তৈরি হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। তাদের সঙ্গে চুক্তি করল মুম্বই, বেঙ্গালুরু, নয়ডা, চেন্নাই, ও কোচির ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারও। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গে যাতে এখানকার পারস্পরিক বাণিজ্য বাড়ে এবং রপ্তানির আরও বাড়তে পারে, তার জন্যই এই চুক্তি। এখানকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার প্রস্তুতকারী সংস্থা মার্লিন গ্রুপের সঙ্গে ওই চুক্তি হয় বাকি সেন্টারগুলির কর্তাদের।
নজরে রপ্তানি: রপ্তানি বৃদ্ধিতে যে ক’টি রাজ্য সবচেয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। রাজ্য সরকারের বার্ষিক রপ্তানির অঙ্ক প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। সেই অঙ্ক দ্বিগুণ করতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানালেন রাজ্য সরকারের ইন্টারনঐ্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড লজিস্টিকস কমিটির কো-চেয়ারম্যান সঞ্জয় বুধিয়া। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার যে রপ্তানি নীতি ও লজিস্টিকস নীতি এনেছে, তা এই লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করবে। প্রশাসনিক ফাঁস না থাকা এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত এরাজ্যের রপ্তানি বাড়াবে, দাবি তাঁর। এদিন রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফরেন ট্রেড একযোগে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে এই শিল্পক্ষেত্রের উপর।
প্রদর্শনী দেখলেন মমতা: বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহের একতলায় আয়োজিত ক্ষুদ্র এবং হস্তশিল্প নিয়ে আয়োজিত প্রদর্শনী ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে।
দার্জিলিংয়ে আইটি: দার্জিলিংয়ে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পস্থাপনের কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বাণিজ্য সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখার সময় তিনি পাহাড়ে আটটি হাবের কথা বলেন। ওখানে এই শিল্পে বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা বলেন মমতা। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পাহাড়ে যাচ্ছেন তিনি। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই উক্তি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
আবাসন: রাজ্য সরকার আবাসন শিল্পের বহর বাড়াতে স্ট্যাম্প ডিউটি সহ একাধিক পদক্ষেপ করেছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কলকাতাতেও ক্রেতাদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়ার কথা জানাল শ্রীরাম প্রপার্টিজ। সংস্থার সিএমডি মুরালি এম জানিয়েছেন, তাঁরা ২৫ লক্ষ বর্গফুট নির্মাণ কাজ শেষ করে, তা ক্রেতাদের হাতে তুলে দেবেন চলতি অর্থবর্ষে। সেই তালিকায় বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কোয়েম্বাত্তুর ও ভাইজাগের পাশাপাশি আছে কলকাতাও। সব মিলিয়ে দেড় হাজার কোটি টাকার আবাসন বিক্রি হবে এবছর, দাবি তাঁর।
বিনোদন শিল্প: বাণিজ্য সম্মেলনে জায়গা করে নিল বিনোদন শিল্প। এবছর সিনেমা এবং অন্যান্য বিনোদনকে প্রাধান্য দিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল বাণিজ্য সম্মেলনে। এদিন সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও এই ক্ষেত্রে রাজ্যে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন পরিচালক গৌতম ঘোষ।