বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
হিমঘর মালিক ও ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, গত মার্চ মাসে প্রতি কেজি আলু কিনে হিমঘরে ঢোকানোর সময় সব মিলিয়ে খরচ পড়েছিল ১০ টাকার আশপাশে। এই পরিস্থিতিতে হিমঘরের ভাড়া ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে আলু স্থানীয় পাইকারি বাজারে ১৫ টাকা কেজি দরের আশপাশে বিক্রি করতে পারলে লাভ থাকত। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। হিমঘর থেকে বের হওয়ার পর প্রথম দিকে আলু বিক্রি করে সর্বোচ্চ ১২ টাকা দাম মিলেছিল। তারপর দাম আরও কমতে থাকে। শেষ পর্যন্ত হিমঘর থেকে বের হওয়া আলু ৫ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছে। এখনও প্রায় দুই লক্ষ টন আলু হিমঘরের চত্বরে পড়ে আছে।
গত মরশুমে নতুন আলু ওঠার সময় খবর রটে যায় যে এবার ফলন কম হয়েছে। ভিন রাজ্যেও আলুর উৎপাদন কম বলে খবর ছড়ায়। এর জেরে মাঠ থেকে ওঠা নতুন আলুর দাম অনেকটা বেড়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাবের মতো প্রধান আলু উৎপাদক রাজ্যে উৎপাদন ভালো হয়েছিল। উৎপাদন বেশি হওয়ার কারণে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি থাকায় বাজারে দাম চড়তে পারেনি। ফলে লাভ করার লক্ষ্যে যাঁরা হিমঘরে আলু রেখেছিলেন তাঁরা বেশি দাম পাননি।
আলুর ব্যবসাতে পুঁজির একটা বড় অংশ আসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণ থেকে। হিমঘরগুলি তাঁদের ধারণ ক্ষমতার ভিত্তিতে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পায়। হিমঘর মালিকরা ব্যাঙ্ক থেকে যে ঋণ পান, তার থেকে আবার ব্যবসায়ীদের ধার দেন আলু কেনার জন্য। একটি হিমঘর গড়ে চার-পাঁচ কোটি টাকা আলুর জন্য ঋণ নিয়ে থাকে। মোট ঋণের পরিমাণ অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকা বলে মনে করছে ব্যবসায়ী মহল। পতিতবাবু জানিয়েছেন, লোকসান হওয়ার জন্য ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না হিমঘর মালিকরা। সমাধান বের করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখন তা সফল হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আলুর ঋণকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষগুলি এনপিএ হিসেবে ঘোষণা করে দিতে পারে, এমন আশঙ্কা আছে। এটা হলে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে আগামী মরশুমে আলু কেনার জন্য নতুন করে ঋণ নাও পাওয়া যেতে পারে।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা না থাকলে আগামী মরশুমে চাষিদের কাছ থেকে আলু কেনার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে আলুর দাম পড়ে গিয়ে চাষিদের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা আছে। সরকারকে এখন থেকে এ ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।