বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে ছাড়া ট্রেনগুলির জন্য ওই স্টেশনের কাছেই শিফ্ট পিছু চার টন ক্ষমতাসম্পন্ন রেলের একটি লন্ড্রি রয়েছে। সেখানে মোট দু’টি শিফ্টে কাজ হয়। একটি গোটা দিনে সেখান থেকে সাড়ে সাত হাজার প্যাকেট তৈরি হয়। প্যাকেটের মধ্যে থাকে বিছানার দু’টি চাদর, একটি বালিশের কভার, একটি ছোট তোয়ালে। কিন্তু, দিনে শিয়ালদহ থেকে যে সংখ্যক ট্রেন ছাড়ে, তাতে দরকার হয় ন’হাজার প্যাকেট। অর্থাৎ, দেড় হাজার প্যাকেটের জিনিসপত্র পরিচ্ছন্ন করাতে রেলকে অন্য তা সংস্থার হাতে ছাড়তে হয়। তার সঙ্গে রয়েছে কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়া দূরপাল্লার ট্রেন। কেবল কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়া ট্রেনের জন্যই দরকার পড়ে সাড়ে তিন হাজার প্যাকেট। অর্থাৎ সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার প্যাকেটের জিনিসপত্র পরিচ্ছন্নতায় রেলকে নির্ভর করতে হয় অন্য সংস্থার উপরে।
এই শূন্যস্থান পূরণ করতেই কলকাতা স্টেশনের কাছে নয়া অত্যাধুনিক যান্ত্রিক লন্ড্রি তৈরি করতে চায় পূর্ব রেল। পূর্ব রেলের এক কর্তা বলেন, নয়া লন্ড্রিতে দিনে সাড়ে চার হাজারটি প্যাকেট তৈরি করা যাবে। কাজেই, সব মিলিয়ে প্রয়োজনের অনেকটা কাজই ‘ইন-হাউস’ করানো সম্ভব হবে। কেন এই সিদ্ধান্ত? এ নিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য গুণগত মান বৃদ্ধি। তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। নয়া পরিকল্পনা পরিচ্ছন্নতার মান বাড়বে।
কী বলছেন যাত্রীরা? পশ্চিমবঙ্গ রেলযাত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অপরেশ ভট্টাচার্য বলেন, দূরপাল্লার ট্রেনে বিছানার চাদর বা বালিসের ঢাকনা অথবা অন্যান্য জিনিসের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে যাত্রীরা অনেক সময় অভিযোগ করেন। বিষয়টি দীর্ঘদিনের। সেই জায়গায় রেল কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা ইতিবাচক। আসল কথা হল, পরিকাঠামো আরও বাড়ানো দরকার। তা না হলে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দে ফাঁক থেকে যাবে। আরও একটি বিষয় রয়েছে। নয়া লন্ড্রি যেমন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে, তেমনই সেখানে কীভাবে কাজ চলছে, তার উপরেও নজরদারি দরকার। তবেই সার্বিকভাবে পরিষেবার মান বাড়বে।