ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
বুধবার বিকেলে বেগুনি জার্সিধারীদের মেজাজই বলে দিচ্ছিল কতটা চনমনে নাইট ব্রিগেড। হবে নাই বা কেন। সাত ম্যাচে পাঁচটিতে জয়। ঝুলিতে দশ পয়েন্ট। প্লে-অফের হাতছানি। এই আবহে একটু বেমানান দেখাল মিচেল স্টার্ককে। অনুশীলনে যোগ দিলেন দেরিতে। বল করতেও দেখা গেল না। মাঠের এক প্রান্তে কিছু সময়ের জন্য সাপোর্ট স্টাফের পর্যবেক্ষণে স্প্রিন্ট টানলেন। ক্লাব হাউসের লোয়ার টিয়ারে বসে কেকেআরের প্র্যাকটিস দেখতে দেখতে এক ক্রিকেটপ্রেমীর প্রশ্ন, স্টার্কের কি চোট রয়েছে? যার উত্তর লুকিয়ে সময়ের গর্ভে। তবে অজি তারকার বিকল্পই বা কোথায়? দুষ্মন্ত চামিরা ঘাম ঝরালেন ঠিকই, কিন্তু কোনওভাবেই তিনি স্টার্কের পরিবর্ত হতে পারেন না।
আইপিএলের মঞ্চে অনেক তারকাই প্রত্যাশা পূরণে সফল হন না। কিন্তু স্টার্কের উপর সমর্থকদের ক্ষোভের বিস্ফোরণের পিছনে সেই ২৪.৭৫ কোটি। এত টাকা দিয়ে তাঁকে নিলামে নেওয়াটাই ভুল হয়েছিল কিনা, তা নিয়েও তর্জা তুঙ্গে। অধিকাংশ ম্যাচেই তিনি দেদার রান বিলিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত পেয়েছেন মাত্র ছ’টি উইকেট। তাঁর মতো তারকার থেকে এই পারফরম্যান্স সত্যিই হতাশ করার মতোই। তবুও ক্রিকেটারটির নাম যে মিচেল স্টার্ক! ২০২৩ বিশ্বকাপেও তিনি ১৬টি উইকেট নিয়েছিলেন। বয়সের (৩৪) ছাপ পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেললেও টি-২০ ফরম্যাটে নিজের দিনে তিনি একাই শেষ করে দিতে পারেন বিপক্ষকে। সেই আশাতেই এখনও অজি তারকার উপর ভরসা রাখছে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। ইডেন ছাড়ার আগে সিইও বেঙ্কি মাইসোরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল স্টার্কের কি চোট রয়েছে, পরের ম্যাচে কি খেলানো হবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে স্টার্কের চোটের কোনও খবর নেই। তবে পরের ম্যাচে স্টার্ক খেলবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজমেন্ট। আমরা এখন ভালো জায়গায় আছি। সব কিছু ভুলে সামনের দিকেই তাকাতে হবে।’
বুধবার সন্ধ্যায় ফ্লাড লাইটের আলোয় ইডেনে ঘাম ঝরালেন স্যাম কারানরাও। রীতিমতো ধুঁকছে প্রীতি জিন্টার দল। কেকেআরের বিরুদ্ধে তাদের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ। আটটি ম্যাচ খেলে পাঞ্জাব জিতেছে মাত্র দু’টিতে। ইডেনে হারলেই এবারের আইপিএল থেকে বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাবে। তাই জয়ে ফিরতে মরিয়া পাঞ্জাব কিংস। ইডেনের পিচে বাড়তি বাউন্স কিছুটা হলেও খুশি করবে কাগিসো রাবাডা, অর্শদীপ সিং, হার্শল প্যাটেলদের। কারণ, পেস আক্রমণই পাঞ্জাবের বড় শক্তি। তবে সবার নজর শিখর ধাওয়ানের উপর। চোটের কারণে তিনি গত কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেননি। এদিন অনুশীলনে আলাদা ব্যাট করলেন গব্বর। এখনও একদিন সময় রয়েছে। তাই শুক্রবার নাইটদের বিরুদ্ধে তাঁর হাতে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড ফিরলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।