শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
ফাইনালে ফেভারিট হিসেবে কোর্টে নেমেছিলেন ভিক্টর ভেন্ডসেন। কিন্তু দ্বিতীয় বাছাই ড্যানিশ তারকাকে এক ইঞ্চি ফাঁকা জায়গা দেননি লক্ষ্য সেন। ম্যাচের শুরুতে লড়াইটা সমানে-সমানে হলেও দ্রুত লড়াইয়ের রাশ হাতে তুলে নেন ভারতীয় শাটলারটি। প্রথম গেমের বিরতিতে ভেন্ডসেন এগিয়ে ছিলেন ১১-৯ পয়েন্টে। কিন্তু তার পরেই আক্রমণাত্মক ব্যাডমিন্টন খেলতে শুরু করেন লক্ষ্য। আর তাতেই বাজিমাত। প্রতিপক্ষকে পেছনে ফেলে ১৩-১২ পয়েন্টে এগিয়ে যান ভারতীয় তরুণ। তার পর থেকে বাকি ম্যাচে কোর্টের আধিপত্য ছিল লক্ষ্যর দখলেই। সেই মতো প্রথম গেম ২১-১৪ পয়েন্টে জিতে নেন তিনি। দ্বিতীয় গেমেও সেই দাপট বজায় রেখে ড্যানিশ প্রতিদ্বন্দ্বীর ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বন্ধ করে দেন লক্ষ্য। তাঁর একের পর এক জোরাল স্ম্যাশ ও ভলির কোনও জবাব ছিল না ভেন্ডসেনের কাছে। মিডল গেমে কিছুটা লড়াই হলেও ২১-১৫ পয়েন্টে দ্বিতীয় গেম দখল করে খেতাব নিশ্চিত করে ফেলেন লক্ষ্য। সব চেয়ে বড় কথা হল, ফাইনালের চাপ দূরে সরিয়ে রেখে দুরন্ত আগ্রাসী ছন্দ দেখিয়েছেন ভারতের উদীয়মান খেলোয়াড়টি। উল্লেখ্য, শুক্রবার সেমি-ফাইনালে ডেনমার্কের কিম ব্রানকে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছিলেন আঠারো বছরের লক্ষ্য। শেষ চারে ৪৮ মিনিটের লড়াইয়ে ব্রানকে তিনি হারিয়েছিলেন ২১-১৮, ২১-১১ গেমে। সেমি-ফাইনালের লড়াই যেখানে শেষ করেছিলেন, ফাইনালের লড়াইও যেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেন উত্তরাখণ্ডের তরুণ প্রতিভা।