নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ম্যাচের আগে ইস্ট বেঙ্গলের সেই ট্র্যাডিশন অব্যাহত। খেলার ৪৮ ঘণ্টার আগে প্র্যাকটিস বন্ধ। শনিবার ছিল পূর্ণ বিশ্রাম। আর রবিবার নিউটাউনের একটি হোটেলে ভিডিও সেশন। রাজারহাটের পাঁচতারা আবাসন থেকে বাসে করে ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলাররা আসেন হোটেলে। রবিবার বলে মাত্র একজন কর্মী ছিলেন দলের সঙ্গে। কোচ আলেজান্দ্রো ও সহকারী কোচ জোশেফ ফেরে সব ব্যবস্থা করেন। এদিনের ভিডিও বিশ্লেষণে কোচ আলেজান্দ্রো জোর দিয়েছেন, ভবানীপুরের দুই সাইড ব্যাকের দুর্বলতার উপর। সোমবারের প্রতিপক্ষের দুই সাইড ব্যাক মুস্তফা আলি ও ইমানুয়েল হক শক্তিশালী কোনও দলের বিরুদ্ধেই আস্থা নিয়ে খেলতে পারেননি। ভবানীপুরের এই দুর্বলতা নিয়েই চর্চা হয় ভিডিও সেশনে। যদিও স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই আলেজান্দ্রো প্রথম একাদশ নিয়ে কোনও আলোচনা করেননি। মরশুমে কলকাতা লিগ ও ডুরান্ড মিলিয়ে মোট ১১টি ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। আলেজান্দ্রোর দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা অব্যাহত। মরশুমের ১১টি ম্যাচেই তিনি আগের ম্যাচের প্রথম একাদশের সঙ্গে পাঁচ-ছটি পরিবর্তন করেছেন। তাঁর হাতে পিন্টু মাহাতো, বিদ্যাসাগর সিং, ব্র্যান্ডন, হুয়ানের মতো অনেক উইঙ্গার আছে। এদের মধ্যে আজ ভবানীপুরের রক্ষণ ভাঙতে কাকে খেলান সেটাই দেখার। আগের ম্যাচে মার্কোসকে পূর্ণ বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ। গত ছয়-আট দিনে মাত্র দু’দিন প্র্যাকটিস করেছেন মার্কোস।
আজ ন’টি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়িতে কল্যাণী যাচ্ছে ইস্ট বেঙ্গল। দ্রুত ভেন্যুতে পৌঁছানোর জন্য টিম বাস থাকলেও তা আলেজান্দ্রো ব্যবহার করছেন না । ‘আলে স্যারের’ কাছে কল্যাণীর মাঠটি কিছুটা অচেনা। তাই সেখানে পৌঁছে মাঠটি দেখে নিতে চাইছেন ইস্ট বেঙ্গল কোচ। কল্যাণী পৌঁছানোর ব্যাপারে অবশ্য লাল-হলুদকেও টেক্কা দিয়েছে ভবানীপুর। ময়দানে এই দলটি মোহন বাগানের ‘বি’ দল হিসাবে পরিচিত। মোহন বাগানের শীর্ষ কর্তারাই ভবানীপুরের সঙ্গে জড়িত। সোমবার ইস্ট বেঙ্গল-ভবানীপুর ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবে মোহন বাগান। এই ম্যাচ ড্র হলে কিবু ভিকুনার দল আবার খেতাবি লড়াইয়ে ফিরতে পারে। রবিবার কল্যাণীতে পৌঁছে একটু বিশ্রাম নিয়ে ভবানীপুরের ফুটবলাররা দুপুরে প্র্যাকটিস করেছেন শিল্পতালুকের সেন্ট্রাল পার্কের পাশের মাঠে। প্রায় ৮০ মিনিট ইস্ট বেঙ্গল ম্যাচের প্রস্তুতি সেরে নেন কামো-ভিক্টর কামুকা-ডুডোজ- কিংশুক দেবনাথ-অর্ণব দাশশর্মারা। ভাবানীপুরের কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী কল্যাণীতে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছেন,‘আমরাও চ্যাম্পিয়শিপ লড়াইয়ে রয়েছি। প্রতিপক্ষ দলে বিদেশি কোচ থাকায় চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। মোহন বাগানের বিরুদ্ধে আমরা যখন খেলাটি ধরছি তখনই রেফারি মিডিও অনুপ তেজেস রাজকে অহেতুক লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দেন।’ সোমবার শঙ্করলাল দুই সাইড ব্যাকের দুর্বলতা ঢাকার জন্য শরণ সিংকে পাচ্ছেন। মাঝমাঠে কর্ণাটক থেকে আসা অ্যান্টাও দারুণ খেলছেন। শঙ্করলাল যদি মমতাজ আখতারের মতো শ্লথ মিডিওকে পুরো ম্যাচ না খেলিয়ে শেখ রিন্টু, ফ্রান্সিস জেভিয়ারদের কিছুক্ষণের জন্য ব্যবহার করেন তবে লড়াই জমবে। ম্যাচের ফল অনেকটা নির্ভর করছে ভবানীপুরের স্টপারে ভিক্টর কামুকার উপর। এবার লিগে অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করে সন্তোষজনক পারফরম্যান্স কিংশুকের। দেখা যাক, সেই ধারাবাহিকতা সোমবার ধরে রাখতে পারেন কিনা বাঙালি ডিফেন্ডারটি।
 .কল্যাণীতে খেলা শুরু ২-৩০ মিনিটে