নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর থেকে স্ট্রং রুমে শেষ ইভিএম ঢোকা পর্যন্ত এদিন সবথেকে ব্যস্ত ছিলেন নির্বাচনী এজেন্টরা। রানাঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর নির্বাচনী এজেন্ট রমাপ্রসাদ রায় বললেন, সোমবার ভোট শেষ হতেই প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা চলে আসি রানাঘাট কলেজে। স্ট্রং রুমে ঠিকঠাক ভাবে ইভিএম রাখা হচ্ছে কিনা তার তদারকি করি। রাতভর সেখানেই ছিলেন আমাদের প্রার্থী। রানাঘাট কলেজ থেকে তৃণমূলের শহর কার্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ঢিল ছোঁড়া বলা যেতে পারে। শুক্রবার সকালে সেখানেই দলের জেলা নেতৃত্ব ভোট পরবর্তী সমীক্ষার কাজ করেন দীর্ঘক্ষণ। তারর ফাঁকে ঘন ঘন রানাঘাট কলেজে ঢুঁ মেরেছেন মুকুটমণি। তিনি বলেন, কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার শেষ ইভিএম সিলড হয়ে স্ট্রং রুমে ঢুকতে ঢুকতে মঙ্গলবার বিকেল চারটে বেজে গিয়েছে। এরপর খানিকটা স্বস্তি পেয়েছি। কিন্তু এখন আমরা সবাই ফলাফল নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। আমি ও দল জেতার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আশাবাদী।
গত আড়াই মাস রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের আনাচে-কানাচে প্রচার সেরেছেন বিজেপি প্রার্থী ও বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সোমবার ভোট মিটে যাওয়ার পরেও বাড়িতে এতটুকু বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাননি তিনি। নিজের নির্বাচনী এজেন্ট অমিত বৈরাগীকে নিয়ে দফায় দফায় সময় কাটিয়েছেন স্ট্রং রুমের সামনে এবং দলীয় কার্যালয়ে। বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট অমিতবাবু বলেন, প্রার্থী এই দু’ মাস টানা প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। এদিকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলা, কয়েক হাজার এজেন্ট ফর্মে সই করে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় ভোটের আগে পাঠানোর কাজ আমায় করতে হয়েছে। মঙ্গলবারও প্রার্থী কিংবা আমরা কেউই নাওয়া-খাওয়ার সময় পাইনি। বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথবাবু বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত শেষ ইভিএম স্ট্রং রুমের ভেতরে ঢোকে, ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তি নেই। এবারে অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়েছি। রানাঘাট কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী অলোকেশ দাস বলেন, কোথায় কেমন ভোট হয়েছে, স্ট্রং রুমে কাজ কেমন চলছিল সকাল থেকেই তার খোঁজ নিয়েছি। দুপুরে বনগাঁ লোকসভার নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে গিয়েছিলাম। আবার সন্ধ্যায় দমদম কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রচারেও যেতে হয়েছে। কাজের বিরাম নেই।
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র এদিন সকাল থেকেই ছিলেন খোশ মেজাজে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। কোন বুথে কীরকম ভোট হয়েছে, প্রতি মুহূর্তে নির্বাচনী এজেন্টের কাছ থেকে তার রিপোর্ট নেন। বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় বলেন, সকালের দিকে আমি বিপিসিআইটি কলেজে ডিসিআরসিতে গিয়েছিলাম। তারপর সেখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক হয়। মহুয়া মৈত্রের সঙ্গেও আমার দেখা হয়েছে। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী এসএম সাদি বলেন, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজকের সকালে একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছি। অনেকদিন পর একটু ভালো করে বিশ্রাম নিয়েছি। তারপর আমাদের পার্টি অফিসে কর্মীদের সঙ্গে ভোট পরবর্তী আলাপ আলোচনা হয়।