নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট মিটতেই শতাব্দীকে কোথায় কোথায় প্রচার করতে হবে, সেই সংক্রান্ত কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে একদিনও বসে আরাম করার ফুরসত নেই তাঁর। বনগাঁ, বারাকপুর লোকসভার বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে এবার পাঠাচ্ছে দল। সেখানে দলের প্রার্থীদের সমর্থনে তিনি প্রচার করবেন। শতাব্দী বলেন, নিজের ভোট শেষ করে উঠলাম। এবার দলের নির্দেশ মতো অন্য লোকসভায় যেতে হবে। আপাতত বনগাঁ, বারাকপুরের দিকে প্রচারে যাব। দল যেখানে পাঠাবে, সেখানেই যাব। ৪২টি কেন্দ্রেরই ঘাসফুল চিহ্নের প্রত্যেক প্রার্থীকেই জেতানো সবার লক্ষ্য। তাতে আমার প্রচারে যেমন দেব এসেছে, আমিও অন্যের প্রচারে যাব।
দলের নেতারা বলছেন, এর আগে শতাব্দীকে স্টার প্রচারক হিসেবে খুব একটা কাজে লাগানো হয়নি। জেলার মধ্যেই সাংগঠনিক কাজ দায়িত্বের সঙ্গে করতেন বলে অন্য এলাকায় পাঠানো হতো না। এবার লোকসভায় যেহেতু স্টার প্রচারকদের বিভিন্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতে শতাব্দীর মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী সেখানে রয়েছেন। কারণ শতাব্দীর স্বচ্ছ ইমেজ অন্যান্য অভিনেতা, অভিনেত্রীদের তুলনায় অনেকটা ভালো। দীর্ঘ ১৫ বছর সাংসদ থাকার কারণে দলীয় রাজনীতিটা ভালো বোঝেন। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ির মাঝবয়সি গৃহবধূদের মধ্যে ভীষণভাবে রয়েছে। যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়মিত পেয়ে আসছেন। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই ‘শতাব্দী এক্সপ্রেস’কে এবার বীরভূম ছাড়িয়ে বনগাঁয় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শতাব্দী বীরভূমের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। তিনি রাজনীতিটা বোঝেন। প্রচারে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে জানেন। সাধারণ মানুষজনও দীর্ঘদিন তাঁকে টিভির পর্দায় দেখেছেন। তাঁকে সামনে থেকে দেখতে সকলেই উদগ্রীব হন। পাশাপাশি তিনি দলের সৈনিক। তাই দল যাঁকে যা বলবে তাই করতে হবে।