কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
এই প্রথম জেলায় কিষাণ খেতমজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের সম্মেলন হল। মুরারইয়ের একটি সিনেমা হলে সেই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উদ্বোধক ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত হন বেচারাম মান্না। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটের সময় বিজেপি ধর্মীয় তাস খেলে আর রাফাল কেলেঙ্কারির কালো টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনেছিল। মদ, মাংস খাইয়ে যুব সম্প্রদায়কে অবনতির পথে ঠেলে দিয়েছে তারা। মানুষ তাদের বুঝতে পেরে এখন দলেদলে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, লোকসভা ভোটের তিনমাস আগে থেকে বিজেপি ও আরএসএসের কর্মীরা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রাজ্য সরকারের প্রকল্প মোদির প্রকল্প বলে মিথ্যা প্রচার চালিয়েছেন। আমরা সেই মিথ্যা প্রচারের কাউন্টার করতে পারিনি। মানুষের কাছে যাইনি। কারণ আমাদের ধারণা হয়েছে, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েত আমাদের দখলে, মাথার উপরে অনুব্রত মণ্ডল আছেন, সব মানুষ ভোট দিয়ে দেবেন। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটের পর দলের পরিকাঠামোর পরিবর্তন হচ্ছে। দিদির চোখ সিসি ক্যামেরার মতো সর্বত্র রয়েছে। অতএব সর্তক হন।
তিনি বলেন, ’২১ সালে ২৩০-এর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে দল। সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য আপনাদের পরিশ্রম করতে হবে। আর সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রচার করতে হবে। বিজেপি ১ শতাংশ কাজ করে ৯৯ শতাংশ প্রচার চালাচ্ছে। আর আমরা ৯৯ শতাংশ কাজে করে ১ শতাংশও প্রচার করতে পারছি না। আমরা নিজেদের সমালোচনায় ব্যস্ত। এগুলি বন্ধ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাতে হবে। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তবেই, আপনি প্রকৃত নেতা। বাড়িতে বসে নেতা হওয়া যায় না।
এদিন সীমিত সময়ের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর বক্তব্যে সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বেচারাম মান্নার ভূয়সী প্রসংশা করেন। তিনি বলেন, কৃষি জীবনের গুরুত্ব এবং তার অগ্রগতির প্রয়াসে যিনি সর্বত্তম তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে কৃষকের আয় বাম আমলের থেকে এখন তিনগুণ বেড়েছে। এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি সুকুমার সাধু, দলের ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ, বিধায়ক আব্দুর রহমান, জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ ভকত ও বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ আসগর আলি প্রমুখ।