নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
রায়গঞ্জ শহরের ২৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবিত্রী দাস বলেন, মশার উৎপাত আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আগে এলাকায় এত মশা ছিল না। এখন দিনের বেলাতেও মশারি টাঙিয়ে থাকতে হচ্ছে। ড্রেনগুলি জলে ভরে থাকছে। নিকাশি হচ্ছে না। এই ড্রেনগুলি থেকেই মশা বাড়ছে। এতে মশাবাহিত রোগ ছড়াতে পারে। পুর কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর দিতে হবে।
শহরের বেশিরভাগ ড্রেন ভেঙে গিয়েছে। আবার কোথাও ড্রেন দিয়ে জল বের হওয়ার জায়গা নেই। ড্রেনের মুখগুলি সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একাধিক জলাশয় বুজিয়ে দেওয়ায় জল নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ। তার জেরেই শহরের নিকাশি পরিষেবা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর। এমনকী ড্রেনের জল অনেক সময় রাস্তায় চলে আসছে। শহরের ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নারায়ণ সরকার বলেন, পুরসভা ড্রেনগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করছে না। ড্রেনের মধ্যেই জমে থাকছে জল। জমা জলে থেকেই মশাবাহিত রোগের আশঙ্কা বাড়ছে। সন্ধ্যা হতেই মশার দৌরাত্ম্যে কোথাও বসা যায় না। বাড়িতে শিশু থেকে বয়স্ক লোক রয়েছে। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগগুলি হতে পারে এই জমা জল থেকে।
মশার বাড়বাড়ন্তের সমস্যার কথা মেনে নিয়েছে রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, মশা মারার কামানে ব্যবহৃত তেল মানুষের ক্ষতি করে। তাই এখন কামান ব্যবহার করা হচ্ছে না। তবে মশা মারার কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ড্রেনগুলি জলে ভরে যাওয়ায় একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী বিধি লাগু থাকায় টেন্ডারে যাওয়া যাচ্ছে না। ভোট মিটলেই শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে পদক্ষেপ নেবে পুরসভা।
মশার এই উপদ্রবে সাধারণ মানুষকে বাড়তি সর্তক থাকার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। রায়গঞ্জ মেডিক্যালের চিকিৎসক বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মশা বেড়ে যাওয়ার পেছনে অপরিচ্ছনতা দায়ী। তাই নিজের এলাকা পরিষ্কার রাখতে হবে। পুর এলাকা সাফাই করা দরকার। মশারি ব্যবহারের বিকল্প নেই। ঝড়, বৃষ্টি হলে মশার প্রাদুর্ভাব কমবে এই ধারণা ভুল। রায়গঞ্জে অপরিচ্ছন্ন নালা। - নিজস্ব চিত্র।