উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এদিন বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পরেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। উপাচার্যের কাছে তিনি সরাসরি জানতে চান কতগুলি কলেজ রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। উপাচার্য ২৫টি ডিগ্রি কলেজ ও একটি আইন কলেজ রয়েছে জানানোর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, এখানে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পড়ুয়ারা এত সমস্যায় পড়ছে কেন?
উপাচার্য প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিয়ে বল ঠেলে দেন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষাদপ্তরের কোর্টে। সভায় উপস্থিত উচ্চ শিক্ষাদপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈনের কাছে বিষয়টি জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে উচ্চ শিক্ষাদপ্তরের বারবার জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরেও বিষয়টি নিয়ে দোলাচল চলতে থাকায় উপাচার্য বলেন, তিনি তাহলে বিষয়টি নিয়ে জানেন না। এরপরেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি এত নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কথা বলছেন কেন?
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। পড়ুয়াদের অসুবিধা নিয়ে যে তিনি আপোষ করবেন না তা এর আগেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে পড়ুয়াদের সমস্যা নিয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায়। তিনি বলেন, উপাচার্য উচ্চ শিক্ষাদপ্তরে দেরি করে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। এই রিপোর্ট ওনার অনেক আগেই পাঠানো উচিত ছিল। আমরা খুশি শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ করেছেন বিষয়টি নিয়ে।
এদিকে জানা গিয়েছে, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপ্রণালী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন মহল থেকে একাধিক নেতিবাচক রিপোর্ট জমা পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অসন্তুষ্টি প্রকাশের পরে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সমস্যার সমাধান হয় কি না, তার দিকেই আপাতত তাকিয়ে তিন জেলার শিক্ষা মহল।