উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, আমরা এখন কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছি। নির্বাচন শেষ হতেই সিপিএমের সঙ্গে যৌথ ভাবে এনআরসির বিরুদ্ধে জেলাজুড়ে আন্দোলন শুরু হবে। সিপিএম না এলে আমরা নিজেরাই করব। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, যৌথভাবে আন্দলনের পক্ষে আমরা আছি। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে এনিয়ে এখনও আমাদের কথা হয়নি।
কংগ্রেসের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, এনআরসির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার জন্য এখনও আমাদের জেলা নেতৃত্ব কোনও নির্দেশ দেয়নি। ফলে আমরা এখনও কোনও কর্মসূচি নিইনি। এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে। কগ্রেসের চাকুলিয়া ব্লক সভাপতি মহম্মদ মুস্তাফা বলেন, এখানে ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো দল এনআরসি নিয়ে একের পর এক কর্মসূচি করছে। এনআরসি ইস্যুকে হাতিয়ার করে সেখানকার বিধায়ক আগামী বিধানসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। কোথাও নিজের দল কোথাও বা অন্য সংগঠনের নামে সভা করছেন। এনআরসি নিয়ে জেলা নেতৃত্ব এখনও আমাদের কোনও নির্দেশ দেয়নি। কিন্তু আমরা বসে নেই। ব্লক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই মাসেই প্রতিটি অঞ্চলে অঞ্চলে সভা করে এনআরসির বিরুদ্ধে মানুষকে বলা হবে। কেন্দ্র সংসদে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল আনবে। সেখানে বিরোধী দল কংগ্রেসই এর বিরোধিতা করবে।
ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা আলি ইমরান রমজ ওরফে ভিক্টর বলেন, এনআরসির বিরোধী জয়েন্ট ফোরামে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কেউ কেউ আসেনি। আমার দৌড় বিধানসভা। আমি সেখানে এর বিরোধিতা করেছি। মানুষকে এর বিরোধিতায় রাস্তায় নামিয়েছি। সংসদে কংগ্রেস আছে সেখানে তারা বিরোধিতা করবে। আমার নির্বাচনের প্রস্তুতির আগে জরুরি দেশের নাগরিক থাকা। আগামি নির্বাচন পর্যন্ত দেশের নাগরিক থাকব কি না তার এখনও পর্যন্ত ঠিক নেই। কংগ্রেস এই সহজ কথাটাই বুঝতে পারছে না।
গত বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস জোট করে লড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে নির্বাচনের সময় ও কিছু ক্ষেত্র নির্বাচনে পরে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের বিরোধ, কোথাও আবার দলের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। এনআরসি ইস্যুতেও সব দল একসঙ্গে বিরোধিতা করার কথা বললেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। মানুষের মনে এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতে এনআরসি নিয়ে সভা হলেই মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। কংগ্রেসের একাংশ বলছে জেলা নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বিভিন্ন ব্লকগুলিকে নির্দেশ দিলে তারা নিজেনের মতো করে কর্মসূচি করতে পারত। এনিয়ে হাতগুটিয়ে বসে থেকে আখেড়ে পিছিয়ে পড়তে হবে।