উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
২০১৭ সালের মার্চ মাসে বুনিয়াদপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি মানিকোর এলাকায় একটি মিনি ইনডোর স্টেডিয়ামের শিল্যানাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য যুব কল্যাণ দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় ২০ লক্ষ টাকা আর্থিক বরাদ্দে ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরু হয়। কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে মিনি স্টেডিয়ামের কাজ চলছিল মানিকোর এলাকায়। কোনও এক অজানা কারণে প্রায় এক বছর ধরে ওই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে। এনিয়ে এলাকার ক্রীড়াপ্রেমীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ জমেছে। এলাকার ক্রীড়াপ্রেমীদের দাবি, স্টেডিয়ামের কাজ পুরোমাত্রায় চালুর জন্য ব্লক প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসন নানা জায়গায় আবেদন করেও লাভ হয়নি। যদিও কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানান, ঠিকাদার সংস্থার সমস্যায় কাজ আটকে পড়েছিল তা দ্রুত শেষ করা হবে।
মানিকোর ক্রীড়া চর্চা কেন্দ্র তরুণ সংঘের সম্পাদক নবকুমার সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কুশমণ্ডির প্রত্যন্ত এই গ্রামে ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই মতো আমাদের ক্লাবের জায়গাতে ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরির কাজ চলছিল। গত বছর এপ্রিল মাসে থেকে কাজ শুরু হয়। তারপর এবছর জানুয়ারি মাসের পর আর কাজ হচ্ছে না। বন্ধ রয়েছে ইনডোর স্টেডিয়ামের কাজ। কাজ অসম্পূর্ণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও কোনও লাভ হয়নি। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ভবনের কাজ থমকে গিয়েছে। প্রশাসন অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ সম্পন্ন করুক।
কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনন্দা বিশ্বাস বলেন, এই কাজের জন্য যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তর থেকে আর্থিক বরাদ্দ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিলান্যাস করার পর আমরা টেন্ডার করে কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। কাজ প্রায় শেষের পথেই রয়েছে। অসুস্থতার কারণে ঠিকাদার সংস্থার লোক বাইরে থাকায় কাজ বন্ধ ছিল। আমরা ঠিকাদারকে ডেকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছি। এবার কাজ না হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব। কুশমণ্ডি ব্লকের বিডিও সইপা লামা বলেন, কুশমণ্ডি মানিকোর মিনি স্টেডিয়ামের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।
কুশমণ্ডি মানিকোর ক্রীড়া চর্চা ক্লাব তরুণ সংঘ জেলার মধ্যে ভলিবল, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন খেলায় ব্লকের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ ও খেলাধুলা চর্চায় যুবক-যুবতীদের উৎসাহিত করে চলেছে। মানিকোর হাইস্কুল মাঠে নিয়ম করে বিভিন্ন খেলার অনুশীলন হয় প্রতিদিন। ক্লাবের কর্মকর্তাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো তাঁর নির্দেশে যুব কল্যাণ দপ্তর অর্থ বরাদ্দ করে। সেই কাজ হলে এলাকায় সাড়া পড়ে যায়। খেলাধুলার সঙ্গে জড়িতদের পাশাপাশি সাধারণ লোকেরাও এতে উৎসাহিত হয়। কিন্তু, বর্তমানে সেই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ থমকে থাকায় এলাকায় হতাশা ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এনিয়ে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করছেন তাঁরা।