ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এনিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন ল্যাব এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগী ধরতে ল্যাব মালিক ও চিকিৎসকদের তরফে রোগী প্রতি নির্দিষ্ট টাকা দালালদের দেওয়া হচ্ছে। আবার নিদিষ্ট বিলের উপর ভিত্তি করেও দালালদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রসূতিকে নিয়ে গেলে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা দালালরা অতিরিক্ত পাচ্ছেন। দালাল চক্রের দাপটের জেরে রোগীদের নাজেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসক দেখাতে এলে রীতিমতো দালালদের হাত ধরে টানা টানিতে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের নাকের ডগায় সমস্ত কিছু চললেও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে রোগী ও পরিবারের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ জমেছে।
বালুরঘাট হাসপাতাল মোড়, ট্যাঙ্ক মোড়ে একাংশ ল্যাব ও চিকিৎসকদের চেম্বার নিয়ম কানুন না মেনেই চলছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে একাধিকবার সেগুলি বন্ধ করা হলেও নজরদারির অভাবে ফের তা চালু হয়েছে। অভিযোগ, সেই ল্যাব ও চিকিৎসকদের চেম্বারে মালিকরা মুনাফা লুটতে দালালচক্রকে কাজে লাগাচ্ছে। দালালরা রোগী ধরে নিয়ে আসছে এবং কমিশন পাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকেই ট্যাঙ্ক মোড়ে কিছু দালাল দাঁড়িয়ে থাকছে। বাস, টোটো, ট্রেকার থেকে রোগীরা নামতেই তাঁদের হাত ধরে টানাটানি শুরু করছে দালালদের একাংশ। রোগীর দখল নিতে মাঝেমধ্যে দালালদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধও বেঁধে যাচ্ছে। এই দালালদের একাংশ স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। রোগী পিছু দালালদের টাকা বরাদ্দ থাকে। চিকিৎসককে দেখাতে হলে টাকার পরিমাণ আলাদা, ল্যাবে পরীক্ষার জন্য রোগী দিতে পারলে সেখানেও টাকার পরিমাণ আলাদা বলে জানা গিয়েছে। যদিও প্রসূতি বিভাগের রোগী চিকিৎসক ও ল্যাব মালিকদের দিতে পারলে দালালদের টাকা বরাদ্দ বেশি হয়। দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে এই চক্র ট্যাঙ্ক মোড়ে চলছে বলে অভিযোগ। রীতিমতো দালালদের কথা মেনে চিকিৎসক না দেখানো হলে তাদের রোষের মুখে পড়তে হয় গ্রামাঞ্চল থেকে আসা রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। বা অনেকে বুঝতেও পারে না এজন্য কোথায় অভিযোগ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের শীঘ্রই পদক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।