গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে বোলপুর ছাড়াও ইডির টিম এদিন হানা দেয় চেতলা, লেকটাউন, বিরাটি সহ মোট ছয় জায়গায়। চন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে অভিযান প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত, তা জলের মতো পরিষ্কার।’ বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ ওরফে অষ্টম মণ্ডল বলেন, ‘চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মনে হলে আইনের দ্বারস্থ হতেই পারে তৃণমূল। তবে যে দুর্নীতির পাকচক্রে ওরা ঢুকেছে, একের পর এক সবাইকেই জেলে ঢুকতে হবে।’
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, শিক্ষক পদে চাকরির জন্য মন্ত্রীর কাছে প্রার্থীরা আসতেন। চাকরিপ্রার্থী খুঁজে বের করার জন্য গোটা বীরভূমে এজেন্ট রাখা ছিল। তারা ক্যান্ডিডেট জোগাড় করে তালিকা পাঠাত মন্ত্রীর কাছে। তিনি সুপারিশ সহ সেই তালিকা পাঠাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। ইডির অভিযোগ, এক শাগরেদের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে মন্ত্রী টাকা সংগ্রহ করতেন। এ বিষয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য, জ্ঞানত কোনও অন্যায় তিনি করেননি। এই অভিযানের বিষয়ে নোটিস দিয়ে তাঁকে আগে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন চন্দ্রনাথবাবু। গোরু পাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সদস্যের বাড়িতে ইডি অভিযানের ঘটনায় বোলপুরজুড়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে।
ইডির দাবি, পার্থ-মানিক ছাড়াও চাকরি প্রার্থীদের তালিকা নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের মিডলম্যান প্রসন্ন রায় ও কুন্তল ঘোষের কাছে পাঠাতেন মন্ত্রী। কুন্তলের থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে চন্দ্রনাথ সিনহার নাম মিলেছে। এমনকী ওই তালিকা সংক্রান্ত বিষয়ে চন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে প্রসন্ন-কুন্তলের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের হদিশও মিলেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। এসব বিষয়ে জানতেই মন্ত্রীকে জেরা। পাশাপাশি মন্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে মলয়বাবুর প্রশ্ন, ‘কুন্তলের ডায়েরি থেকে সূত্র পেয়ে থাকলে, সেটা এতদিন পর ভোটের আগে মনে পড়ল?’