গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কিন্তু ঠিক কোন ঘটনার জেরে এত কিছু? বিজেপিপন্থী ওই আইনজীবীদের চাহিদা হল, নির্ধারিত সময় অর্থাৎ বিকেল সাড়ে ৪টের পর এজলাস থেকে বিচারপতিরা উঠে গেলে আদালত কক্ষে তাঁদের বসতে দিতে হবে। কক্ষ বন্ধ করা যাবে না। সেখানে বসে তাঁরা রাজনৈতিক আলোচনা করবেন। গত বুধবার আদালত কক্ষে বসে রাজনৈতিক মিটিং করেন প্রায় ৪০ জন বিজেপিপন্থী আইনজীবী। এরপর বৃহস্পতিবারও তেমন কিছু করার ইচ্ছা ছিল তাঁদের। কিন্তু কক্ষ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরই ওই আইনজীবীরা সটান চলে যান রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিসের সামনে। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে দপ্তরের কর্মীদের হুমকি দিয়ে বলেন, কোর্ট রুমের ভিতরেই তাঁদের মিটিং করতে দিতে হবে!
এই ঘটনাতেই ক্ষিপ্ত প্রধান বিচারপতি। এজলাসে বসেই তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী আইনজীবীরা যা করেছেন, তা ন্যক্কারজনক।’ এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘গতকাল রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিসে একদল আইনজীবী গিয়ে কর্মীদের হুমকি দিয়ে এসেছেন, কোর্ট রুমের ভিতরে তাঁদের মিটিং করতে দিতে হবে! এই কাজ ক্ষমা করা যায় না। কোন সাহসে তাঁরা কর্মীদের হুমকি দিতে পারেন? যদি আদালতেই কেউ নিরাপদ বোধ না করেন, কোথায় যাবেন তাঁরা?’ এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বুধবারও প্রায় ৪০ জন আইনজীবী কোর্টের মধ্যে জড়ো হয়েছিলেন। খবর পেয়েছি, একটি রাজনৈতিক মিটিং হচ্ছিল। কিন্তু কোর্টের মধ্যে কেন? যে কোনও জায়গায় মিটিং করতে পারেন। এখানে আদালতের পবিত্রতা বজায় রাখুন!’
বিজেপিপন্থী আইনজীবীদের এই কাজের জেরে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায় হাইকোর্টের সব কক্ষ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। একইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি তিনি বৃহত্তর বেঞ্চেও পাঠাবেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ওই আইনজীবীদের মধ্যে দু’জন অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক। আমি দু’জনের নাম জানতে পেরেছি—আইনজীবী ফাল্গুনী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজেশ সাহা। এছাড়া কারা কারা ছিলেন, তাঁদের সবার নাম আজ (শুক্রবার) রাতের মধ্যে জানতে চাই।’